খাসির মাংসে দই দিয়ে রান্না করলে মাংসের স্বাদ যেমন বেড়ে যায় তেমনি মাংস খুব তাড়াতাড়ি সুসিদ্ধ হয়। কিন্তু সঠিক কোন সময় দই ব্যবহার করা উপযোগী জানেন কি?

বিয়েবাড়ি স্টাইলে কষা খাসির মাংস হোক কিংবা রবিবারে বাড়িতে আলু দিয়ে পাতলা ঝোল, মাটন পাতে পড়লে মুখে হাসি ফোটে সকলেরই। অনেকে রেডমিট বলে স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে খাওয় কমিয়ে দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু মাসে একবার অনেকেই খায়। এবং যখন খান তখন যথেষ্ট রসিয়ে কষিয়ে খেতে পছন্দ করেন।

খাসির মাংস নরম ও সুস্বাদু করতে দই দুই ধাপে ব্যবহার করা হয়। প্রথমে ম্যারিনেশনের জন্য এবং পরে রান্নার মাঝামাঝি পর্যায়ে। ম্যারিনেশনের জন্য দই ব্যবহার করলে মাংসের প্রোটিন ভেঙে নরম হয়, আর রান্নার সময় দই যোগ করলে মাংসে একটি মসৃণ ও টক ভাব আসে। রান্নার সময় দই যোগ করার সময় আঁচ কমিয়ে দিন এবং দই মেশানোর পর অনবরত নাড়তে থাকুন যাতে ফেটে না যায়। আসুন জানা যাক খাসির মাংস রান্না করার সময় ঠিক কোন সময় দই দিলে রান্নাটি সঠিক হতে পারে।

** ম্যারিনেশন এবং দইয়ের ব্যবহার ম্যারিনেশন: রান্না শুরু করার আগে, খাসির মাংসের সাথে লবণ, আদা-রসুন বাটা, হলুদ, গরম মসলা, এবং টক দই মাখিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন। এই ধাপে দই মাংসের প্রোটিনকে ভেঙে নরম করতে সাহায্য করে এবং সব মসলা ভালোভাবে মিশে যেতে সাহায্য করে।

** রান্নার সময় দই যোগ করা:

* রান্নার মাঝামাঝি পর্যায়: মাংস কষানো এবং রান্না করার মাঝামাঝি পর্যায়ে দই যোগ করুন।

* আঁচ নিয়ন্ত্রণ: দই যোগ করার আগে আঁচ কমিয়ে দিন। সরাসরি গরম তেলে বা মশলায় দই দিলে তা ফেটে যেতে পারে।

* অনবরত নাড়ুন: দই যোগ করার পর মাংস ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না দই ভালোভাবে মিশে যায় এবং মসৃণ একটি গ্রেভি তৈরি হয়।

* শেষ ধাপ: রান্নার একেবারে শেষ দিকেও দই ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এই পদ্ধতিতে দই যোগ করার আগে আঁচ একদম কমিয়ে দিতে হবে।

অতিরিক্ত টিপস: দই ফেটিয়ে নিন: দই সরাসরি ব্যবহার না করে, রান্নার আগে ভালো করে ফেটিয়ে নিলে তা আরও ভালোভাবে মিশে যাবে এবং দলা পাকাবে না।

সব উপকরণ একসঙ্গে যোগ করা: দই এবং অন্যান্য টক উপাদান (যেমন লেবুর রস) একসঙ্গে ব্যবহার করলে তার প্রভাব ভিন্ন হতে পারে, তাই কোন উপাদান কখন ব্যবহার করছেন সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

সঠিক দইয়ের ব্যবহার: সম্পূর্ণ ফ্যাটযুক্ত টক দই ব্যবহার করলে রান্নার স্বাদ এবং টেক্সচার ভালো হবে।