সংক্ষিপ্ত
গাটি কচু ফাইবার এবং প্রতিরোধী স্টার্চ সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর। এই কচু খেলে হজম এবং হৃদরোগের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়।
ইংরেজিতে গাটি কচুকে বলে ট্যারো রুট। এই কচু স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি খেলে শরীরের অনেক রোগ থেকে দূরে থাকবেন। গাটি কচু ফাইবার এবং প্রতিরোধী স্টার্চ সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর। এই কচু খেলে হজম এবং হৃদরোগের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়।
গাটি কচু খাওয়ার ৬টি উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- পুষ্টিগুণে ভরপুর গাটি কচু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হবে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে- গাটি কচুতে প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায়। এই সবজি হজমশক্তি ঠিক রাখে। এর পাশাপাশি গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার সমস্যাও দূর হয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে- গাটি কচু স্টার্চ সমৃদ্ধ এবং দুই ধরনের কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গাটি কচু খাওয়া কার্বোহাইড্রেটের হজম এবং শোষণকে ধীর করে দেয় এবং খাবারের পরপরই রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়- গাটি কচু খাওয়া চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে ভিটামিন এ এবং সি-এর মতো উপাদান, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে কার্যকরী- গাটি কচু ওজন কমাতেও কার্যকর। এটি খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, যা সারাদিনের ক্যালরির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। গাটি কচুতে ক্যালরির পরিমাণ কম, তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে ডায়েটে গাটি কচু রাখুন।
হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে- গাটি কচু-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ই। এটিকে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন।