Health Tips: ৬০ বছর হয়ে গেলেও থাকবেন একদম ঝরঝরে, যদি মেনে চলেন এই টিপটসগুলি
৬০ বছর বয়সেও ২০ বছর বয়সের মতো সক্রিয় থাকার জন্য এখনই কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন। এই অভ্যাসগুলি নিয়মিত অনুসরণ করলে ৬০ বছর বয়সে কেমন থাকবেন তা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। কোন ৬টি অভ্যাস? জেনে নিন।

নিয়মিত ব্যায়াম :
৬০ বছর বয়সেও ব্যায়াম করা খুবই জরুরি। এটি পেশী শক্তিশালী করতে, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট বেগে হাঁটা, সাঁতার কাটা এবং যোগব্যায়াম হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং মানসিক চাপ কমিয়ে মনের শান্তি দেয়। হালকা ওজন তোলার ব্যায়াম পেশী শক্তিশালী করতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার :
আপনার বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, এবং ফল, শাকসবজি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। দুগ্ধজাত খাবার এবং সবুজ শাকসবজি খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডাল, মাছ, মুরগি এবং ডিম পেশীর ক্ষয় রোধ করে এবং শরীরের মেরামত প্রক্রিয়া উন্নত করে।
পর্যাপ্ত ঘুম :
৬০ বছর বয়সে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম খুবই জরুরি। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং একই সময়ে উঠা শরীর এবং মনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। ঘুমানোর আগে বই পড়া, হালকা সঙ্গীত শোনা বা গরম পানিতে স্নান করা আপনাকে শান্তিপূর্ণ ঘুম দিতে পারে। ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন। এগুলি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
সামাজিক অংশগ্রহণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য :
সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি নতুন ভাষা শিখুন বা একটি নতুন দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখবে। স্বেচ্ছাসেবী কাজে অংশগ্রহণ করুন, এতে আপনি মানসিক তৃপ্তি পাবেন এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। নাতি-নাতনী এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানো আপনাকে আনন্দ এবং মানসিক শান্তি দেবে। মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন ধ্যান, যোগব্যায়াম বা প্রাণায়াম করুন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা :
৬০ বছর বয়সে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা জরুরি। নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা জেনে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। দাঁত এবং চোখ পরীক্ষা করলে চোখ এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বয়স অনুযায়ী টিকা নেওয়ার বিষয়ে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং টিকা নিন। এটি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্ত করতে এবং প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করতে সাহায্য করবে।
ইতিবাচক মনোভাব এবং মানসিক তৃপ্তি :
৬০ বছর বয়সে ইতিবাচক মনোভাব থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতীত নিয়ে চিন্তা না করে বর্তমানে মনোযোগ দিন এবং ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদী থাকুন। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া ভালো বিষয়গুলি নিয়ে ভাবুন। এটি আপনার মনোভাব উন্নত করবে। বেশি করে হাসুন, মজার বিষয়গুলি উপভোগ করুন। আপনার পছন্দের কাজে নিজেকে জড়িত রাখুন, এতে আপনি আনন্দ এবং মানসিক তৃপ্তি পাবেন। নিজের শরীর এবং মনের যত্ন নিন। মনে রাখবেন আপনি এক নন। প্রয়োজনে বন্ধু, পরিবার বা বিশেষজ্ঞদের কাছে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।