Acidity Problem: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) কয়েকদিন বেশিরভাগ মানুষই রাত জেগে ঠাকুর দেখেছেন, বাইরে প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করেছেন। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া এবং ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে অনেকেরই হজমের গোলমাল হচ্ছে।
Acidity-Heartburn Issues: পুজোয় দেদার ঘোরাফেরা আর ভরপুর খাওয়া দাওয়া তো হয়ই। এবার সমস্যা গ্যাস-অম্বলের। পুজোর পর অম্বল বা গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে তুলসী পাতা, মৌরি, এবং আদা ও গোলমরিচের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। পাতে থাকুক কাঁচাকলাও। এছাড়া তুলসী পাতা চিবানো বা তুলসী চা পান করা, মৌরি চিবানো এবং আদার রস, গোলমরিচ ও লবণ মিশিয়ে খাওয়া তাৎক্ষণিক উপশম দিতে পারে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস-অম্বলের হাত থেকে রেহাই পাওয়া গেলে অন্য কোনও ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে সহজেই উপকার পাওয়া যায়।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে উপশম পাওয়া সম্ভব-
- তুলসী পাতা: তুলসীপাতায় শীতলীকরণ ও বায়ুনাশক উপাদান থাকে যা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির কার্যকারিতা কমাতে সহায়ক।
ব্যবহার- ৫-৬টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। ৩-৪টি তুলসীপাতা সেদ্ধ করে সেই জলে একটু মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
- মৌরি: মৌরি তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাসিড কমিয়ে স্বস্তি দিতে পারে এবং বদহজম ও পেট ফাঁপার চিকিৎসায় কার্যকর।
ব্যবহার: খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খান।
- আদা ও গোলমরিচ: আদা ও গোলমরিচের মিশ্রণ গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ব্যবহার: এক চামচ আদার রস নিন। এর সঙ্গে এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো ও সামান্য লবণ মিশিয়ে খান।
গ্যাস অম্বল হলে খাওয়া দাওয়া পাল্টে নিন:
- দই-ভাত খান: পেট খারাপ হলে খেতে পারেন দই-ভাত। কারণ, পেটের সমস্যা হলে পেট ঠান্ডা রাখা একান্তই প্রয়োজন। তাই এই খাবার একেবারে উপযুক্ত। পাশাপাশি হজমের গোলমাল মেটানোর জন্য দইয়ের প্রবায়োটিক গুণ দারুণ উপকারী।
- কাঁচকলা: পেট খারাপ হলে খেতে পারেন কাঁচকলা। এটি পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কারণ কলার মধ্যে থাকা রেসিট্যান্ট স্টার্চ নামক ফাইবার পেট খারাপের সমস্যার ওষুধ হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও কলা খেলে শরীরের শক্তি আসে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


