সকালে ব্রাহ্মমুহূর্তে খালি পেতে তামার পাত্রে রাখা জল খাওয়া নীরোগ রাখে আপনাকে। তবে আরেকটু সুস্বাস্থ্য পাবেন বলে, যদি তামার পাত্রে লেবু জল রেখে খান, তাতে হতে পারে হিতে বিপরীত।
প্রাচীন আয়ুর্বেদ অনুসারে তামার পাত্রে ব্রাহ্মমুহূর্তে জল খাওয়া বহুদিন ধরেই একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে পরিচিত। অনেকে বিশ্বাস করেন, তামা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর এই অভ্যাসই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে যদি সেই পাত্রে লেবুর শরবত বা অন্যান্য টক পদার্থ রাখা হয়।
এই বিষয়ে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি, অ্যাপ্লায়েড ওয়াটার সায়েন্স জার্নাল এবং ফুড সায়েন্স নিউট্রিশন জার্নালের গবেষণা কী বলছে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
তোমার পাত্রে জল খাবেন কীভাবে?
আয়ুর্বেদিক ডাঃ পূর্বী ভাটের মতে, তামার পাত্রে ভেজানো জল একমাত্র সকালে খালি পেটে পান করা স্বাস্থ্যসম্মত। অ্যাপ্লায়েড ওয়াটার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গেছে, তামার পাত্রে রাখা জলে তামার মাত্রা ০.০০৯ থেকে ০.৮২৩ মিলিগ্রাম/লিটার পর্যন্ত থাকতে পারে যা স্বাভাবিক। তাই সারা দিনে এক গ্লাস জল তামার পাত্র থেকে খেতেই পারেন।
তবে লেবুর রস, ভিনিগার, তেঁতুলের মতো টক জাতীয় অ্যাসিডিক পদার্থ তামার পাত্রে রেখে ব্যবহার করতে সাবধান করা হয়। ফুড সায়েন্স নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত তামা গ্রহণে লিভার ও কিডনির সরাসরি ক্ষতি হতে পারে। এর সঙ্গে শ্বাসনালিতে প্রদাহ, মাথা ঘোরা, বমি, পেটের সমস্যা প্রভৃতিও হতে পারে।
তামার পাত্র পরিষ্কারের সঠিক উপায়
তামার পাত্র পরিষ্কার করার সময় অনেকেই লেবু দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করেন। এটি ঠিক হলেও সেই পাত্রে সঙ্গে সঙ্গেই খাবার পরিবেশন করা বিপজ্জনক। তাই শুধু লেবু দিয়ে পরিষ্কার করার বদলে লেবুর রসের সাথে কিছুটা নুন মিশিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর গরম জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তারপরই ব্যবহার করুন।
