ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হ্যোমিওপ্যাথি নেবে বড় ভূমিকা, সম্প্রতি এমনই এক জোরালো তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যে তথ্য সামনে এসেছে তার সঙ্গে নাম জুড়েছে বাংলার এক তরুণ মেডিক্যাল পড়ুয়ার নাম৷ অভিদীপ্ত হাজরা কাটোয়ার কুর্চি গ্রামের ছেলে ।
এখন ঘরে ঘরে দেখা মেলে ডায়াবেটিস রোগী। দিন দিন এই রোগের শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। শুধু বয়স্করাই নয় এই রোগের শিকার অল্প বয়সীরাও। চিকিৎসকদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ও পরিশ্রমহীন জীবন কাটানো হল এই রোগের মূল কারণ। গবেষনা বলছে, ইদানিং টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বেশিরভাগ পুরুষ। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের থেকে মহিলাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে ৬৫ বছরের পর থেকে। স্বাভাবিকভাবেই , ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্য়ার বাড় বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগে গবেষকরাও। রোগীর ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে অনেকেই ভরসা করেন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায়। কিন্তু অনেকে ক্ষেত্রেই দেখা যায় অ্যালোপ্যাথি ট্রিটমেন্টেও নিয়ন্ত্রণে থাকছে না এই মধুমেহ রোগ। তাছাড়া অ্যালোপ্যাথি ওযুধ যথেষ্ট ব্যয়বহুল। বিকল্প হিসেবে বর্তমানে অনেকেই ভরসা রাখা শুরু করেছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায়। অনেকেই মনে করেন এই চিকিৎসা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হ্যোমিওপ্যাথি নেবে বড় ভূমিকা, সম্প্রতি এমনই এক জোরালো তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যে তথ্য সামনে এসেছে তার সঙ্গে নাম জুড়েছে বাংলার এক তরুণ মেডিক্যাল পড়ুয়ার নাম৷পড়ুয়া চিকিৎসক অভিদীপ্ত হাজরা কাটোয়ার কুর্চি গ্রামের ছেলে বলেই জানা গেছে।‘হাই ব্লাড সুগারের ক্ষেত্রে অ্যাভোগ্যাড্রো সীমার উপরে অতি তরলীকৃত হোমিওপ্যাথি ওষুধের চিকিৎসামূলক উপকারিতা’ এমনই বিষয় নিয়ে গবেষণা অভিদীপ্ত হাজরার।
ওই অন্তিম বর্ষের পড়ুয়া চিকিৎসক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাফল্য পেয়েছেন ৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে, আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথি দিবসে পুরষ্কৃতও করা হবে তাঁকে এই গবেষণার জন্য দিল্লিতে আয়ুষ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় হ্যোমিওপ্যাথি অনুসন্ধান পরিষদের (সিসিআরএইচ) পক্ষ থেকে ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানা যায়, সারা দেশে মাত্র কয়েকজনকেই এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে, সেই তালিকায় নাম বাংলার এই কৃতী পড়ুয়া অভিদীপ্ত হাজরা । তিনি প্রফেসর ডা: দেবর্ষি দাসের তত্ত্বাবধানে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। ব্লাড সুগাররের মাত্রাকে নিশ্চিতভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে গবেষণায় এমনটাই আশা করা যাচ্ছে। উল্ল্যেখ্য, ২০২৩ সালে রক্তাল্পতার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ওষুধের ভূমিকা নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অভিদীপ্তকে পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
