Health News: কেমোথেরাপির চিকিৎসা চলার সময়ে একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হবে রোগীকে। কেমোর চিকিৎসা চলাকালীন শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, মাথাঘোরা, বমি ভাব বাড়ে। হাঁটাচলা করার সময়ে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। কাজেই ওই সময়ে কী কী খাওয়া জরুরি, তা জেনে রাখা ভাল।

Health News: কেমোথেরাপির আগে, সময় এবং পরে প্রোটিন, শস্য, ফল ও সবজি সমৃদ্ধ খাবার খেলে শক্তি বাড়বে এবং দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে। কেমোর আগে হালকা, সহজে হজম হয় এমন খাবার খান।যেমন - কলা বা আপেল সস। কেমো চলাকালীন বমি বমি ভাব বা রুচির পরিবর্তন হলে ঘন ঘন অল্প করে খাবার খান। কেমোর পর, হজমে সহায়ক ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন - ডিম, মাছ, ডাল, বাদাম, এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি খান।

কেমোথেরাপির আগে কী করবেন? 

১) হালকা ও সহজপাচ্য খাবার: কেমোথেরাপির জন্য যাওয়ার আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন, যেমন - একটি ছোট স্যান্ডউইচ, ফল বা দই।

২) ফল ও জুস: আপেল, কলা, বা কম অ্যাসিডযুক্ত ফলের রস খেতে পারেন।

৩) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: এটি শরীরকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে, যেমন - একটি ছোট ডিম বা কিছু ক্র্যাকার।

* কেমোথেরাপি চলাকালীন

১) যখনই সম্ভব, খান: কেমোথেরাপির কারণে বমি বমি ভাব বা ক্ষুধা কমে যেতে পারে, তাই যখনই সম্ভব, কিছু খান। এমনকি অল্প পরিমাণ খাবারও গুরুত্বপূর্ণ।

২) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: আপনার শরীরকে শক্তি দিতে উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন, যেমন - ডাল এবং মটরশুঁটি, বা প্রাণী-ভিত্তিক প্রোটিন যেমন - ডিম, মাছ এবং দুগ্ধজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।

৩) আর্দ্রতা বজায় রাখুন: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। প্রচুর পরিমাণে জল, বা কম অ্যাসিডযুক্ত ফলের রস পান করুন।

৪) স্বাদ বদল: কেমোথেরাপির কারণে অনেক খাবারের স্বাদ বদলে যেতে পারে। যে খাবারগুলো আপনার ভালো লাগে, সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন, যেমন - ঠান্ডা খাবার বা সস যুক্ত খাবার।

৫) ছোট ছোট ভাগ করে খান: একবারে বেশি না খেয়ে, সারাদিনে অল্প অল্প করে বার বার খাবার খান।

* কেমোথেরাপির পরে

১) প্রোটিন ও ক্যালোরি: শরীর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ক্যালোরি প্রয়োজন। মাছ, ডিম, এবং ডাল আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন।

২) হজমে সহায়ক খাবার: কম ফাইবারযুক্ত খাবার বেছে নিন, যেমন - সেদ্ধ সবজি বা ভাত।

২) চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: চর্বিযুক্ত খাবার হজম করা কঠিন হতে পারে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন।

৩) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন: শরীর থেকে কেমোর বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করার জন্য বেশি করে জল পান করুন।

৪) শাকসবজি ও ফল: ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ টাটকা ফল এবং সবজি খান, তবে কাঁচা সবজি খেলে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* মনে রাখবেন

প্রতিটি মানুষের শরীর ভিন্ন, তাই একজন রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা খুব জরুরি। তারা আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস তৈরি করে দিতে পারবেন।

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো নতুন সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ গ্রহণ করবেন না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।