ধূমপানের পাশাপাশি পরিবেশগত বায়ুদূষণের কারণেও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে মহিলাদের। গবেষণায় উঠে এসেছে, রান্নার ধোঁয়া সরাসরি শরীরে ঢুকে ফুসফুসের ক্ষতি করে।
অল্প বয়সে একের পর এক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই তালিকায় যেমন আছে সুগার, প্রেসার, থাইরয়েডের সমস্যা তেমনই আছে ক্যান্সারের মতো রোগ। বর্তমানে ব্যাপক ভাবে প্রসার লাভ করছে ক্যান্সার। এই রোগে মৃত্যুর হারও চোখে পড়ার মতো। এই ক্যান্সারের মধ্যে বর্তমানে ফুসফুস ক্যান্সার বিশাল ভাবে প্রসার লাভ করছে। অনেকেই জানেন না মহিলারা বেশি মাত্রায় এই রোগে আক্রান্ত। এদিকে মহিলারা ধূমপান করেন না তাও কেন এমন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে জানেন?
সম্প্রতি বিজ্ঞাপনপত্রিকা ল্যান্সেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে, ধূমপানের পাশাপাশি পরিবেশগত বায়ুদূষণের কারণেও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে মহিলাদের।
ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে এই জাতীয় ক্যান্সারের প্রকোশ বেশি। দূষণ মূলত ছড়াচ্ছে রান্নার জ্বালানি থেকে। চেন্নাইয়ের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই বিজ্ঞানী দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, পুনে, বেঙ্গালুরু, হায়দরাহাদ-সহ ভারতের ১০ টি শহরের প্রায় দেড় হাজার মহিলার মধ্যে এই সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই দেড় হাজার মহিলার মধ্যে ৫৮ শতাংশ ধূমপান না করা সত্ত্বেও ফুসফুসের ক্যান্সারের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, চোখ দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গবেষণায় উঠে এসেছে যে, দিনের অধিকাংশ সময় মহিলারা রান্নাঘরে সময় কাটান। রান্নার সময় যে দূষিত ধোঁয়া উৎপন্ন হয় তা সরাসরি শরীরে ঢুকে যায়। এর থেকে ফুসফুসের ক্ষতি হয়।
রান্নার গ্যাসের ধোঁয়া তো আছেই সঙ্গে মশার ধূপ, ধূপকাঠি জ্বালানি এগুলো ক্ষতি করে থাকে শরীরের।
কিছুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় পরিবেশগত ধোঁয়াকে। এই বিষয় সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ চলছে।
এক চিকিৎসকের কথায়, এখনও প্রচুর মানুষ গ্যাসের বদলে কাঠ কয়লার উনুন ব্যবহার করেন। যা থেকে কার্বণ ডাই অক্সাইড-সহ অনেক দূষিত গ্যাস শরীরে ঢুকে ফুসফুসের ক্ষতি করে।

