সংক্ষিপ্ত
ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান কারি পাতায় পাওয়া যায়, যা শরীরের নানাভাবে উপকারে কাজ করে। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন সকালে ৩ থেকে ৪টি সবুজ পাতা চিবিয়ে খাওয়ালে কীভাবে উপকার পাওয়া যায়।
ভারতীয় রান্নাঘরে কারি পাতা প্রচুর ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের বেশিরভাগই এই পাতা দিয়ে রান্নার স্বাদ বদল করা হয়। কারি পাতা যে কোনও খাবারের স্বাদ বাড়াতে পারে। অনেকে এটি বাজার থেকে কিনে থাকেন, আবার কেউ বাড়িতে বা বাগানে চাষ করেন।
যদিও সাধারণভাবে ঝোল জাতীয় রান্নায় এটির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, কারি গাছের পাতা অন্যান্য অনেক রান্নায় ভিন্ন স্বাদ যোগ করার জন্য ব্যবহার করা যায়। কম্বোডিয়ায় ওর পাতা খোলা আগুনে সেঁকে বা ঝলসিয়ে নেয়া হয় যতক্ষণ না এটি মুড়মুড়ে হয়ে যায়, তারপর এটি গুড়ো করে মাজু কুরেং নামের একটি টক স্যুপে ব্যবহার করা হয়।
কারি পাতা স্বাস্থ্যের ধন
ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান কারি পাতায় পাওয়া যায়, যা শরীরের নানাভাবে উপকারে কাজ করে। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন সকালে ৩ থেকে ৪টি সবুজ পাতা চিবিয়ে খাওয়ালে কীভাবে উপকার পাওয়া যায়।
কারি পাতা খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা
চোখের জন্য ভাল- কারি পাতা খেলে রাতকানা বা চোখ সম্পর্কিত আরও অনেক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায় কারণ এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক।
ডায়াবেটিসে সহায়ক- ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই কারি পাতা চিবানোর পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এতে হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন- কাবুলি চানা নাকি কালো ছোলা, কোনটা বেশি উপকারী এবং কেন, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত
আরও পড়ুন- জেনে নিন এই খাবারগুলি বাড়ায় মানসিক চাপ, জেনে নিন এই ধরনের খাবার সম্পর্কে
আরও পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে দামি সবজির মধ্যে এটি একটি, যার দাম শুনলে অবাক হবেন
হজম ভালো হবে- কারি পাতা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেতে হবে কারণ এটি হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, ফোলা সহ পেটের সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা মেলে- কারি পাতায় অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা অনেক ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং রোগের ঝুঁকি রোধ করে।
ওজন কম হবে- কারি পাতা চিবানো ওজন এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে ইথাইল অ্যাসিটেট, মহানিম্বিন এবং ডাইক্লোরোমেথেনের মতো পুষ্টি রয়েছে।