ডুমুর একটি সুপারফুড যা ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে ভরপুর। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, এবং হাড় ও হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এই ফলটি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর।

ডুমুরের উপকারিতা আমাদের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। অনেক রোগের জন্য ডুমুর একটি চমৎকার প্রতিকার। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি, ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। এগুলো জলে ভিজিয়ে বা এমনিও খাওয়া যেতে পারে। চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবারের পরিবর্তে ডুমুর খাওয়া একটি ভালো বিকল্প। আসুন জেনে নেওয়া যাক ডুমুরের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো সম্পর্কে...

এক

দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবার থাকার কারণে ডুমুরকে একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি শুকনো ডুমুরে প্রায় ৫ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। একই সাথে, এটি প্রোবায়োটিক কার্যকলাপের মাধ্যমে অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও সাহায্য করে। ফাইবার কোলনের স্বাস্থ্য বজায় রাখে কারণ এটি শরীরে পুষ্টির শোষণ উন্নত করে। গবেষণা বলছে, যখন মলত্যাগ ধীর হয়, তখন খাবারে ডুমুর যোগ করলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং পেট ফাঁপা কমে।

দুই

ডুমুর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত বাড়তে বাধা দেয়। টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে, ডুমুর খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা কমাতে সাহায্য করতে পারে। খাবারের সাথে ২-৩টি ডুমুর খেলে শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

তিন

ডুমুরে থাকা পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ এবং আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়।

চার

ডুমুরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। চারটি শুকনো ডুমুরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৬০ মিলিগ্রাম, যা হাড়কে ফ্র্যাকচার থেকে রক্ষা করে।

পাঁচ

ডুমুরে থাকা ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সংমিশ্রণ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। একই সাথে, এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ধমনীর স্বাস্থ্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে। ডুমুর খেলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।