সংক্ষিপ্ত
মিষ্টি আম অনেকের জন্য সঠিক নয়। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি বা ডায়াবেটিক রোগী। এমন মানুষের কাছে কাঁচা আম অমৃতের মতো। পুষ্টিবিদরা এই তথ্যের সঙ্গে একমত।
শুধু আমের কারণেই অনেকে গরমকাল পছন্দ করেন। কিন্তু মিষ্টি আম অনেকের জন্য সঠিক নয়। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি বা ডায়াবেটিক রোগী। এমন মানুষের কাছে কাঁচা আম অমৃতের মতো। পুষ্টিবিদরা এই তথ্যের সঙ্গে একমত। জেনে নিন কাঁচা আমের উপকারিতা কী এবং কেন পাকা আম খাওয়া উচিত নয়।
পাকা আম রক্তে শর্করা ও ওজন বাড়ায়
পাকা আমে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট এবং সুগার থাকে। কার্বোহাইড্রেটের সাথে চিনি পাকস্থলীতে প্রবেশের সাথে সাথে ফ্রুক্টোজে রূপান্তরিত হয় এবং রক্তে দ্রবীভূত হয়। কিন্তু কাঁচা আম ডায়াবেটিস ও স্থূলতা দুটোতেই খাওয়া যায়।
কোলেস্টেরল কমায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে
আমে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন সি যা আমাদের পরিপাকতন্ত্র এবং কোলেস্টেরলের জন্য উপকারী। এতে পাওয়া মিনারেল ও এনজাইম আমাদের হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে এবং সেগুলো হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।
এছাড়াও আমে পাওয়া বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান ম্যাঙ্গিফেরান ডায়াবেটিস রোগী এবং ক্যান্সার রোগীদের জন্য খুবই উপকারী এবং সংক্রমণ ও হৃদরোগ থেকেও রক্ষা করে। পাকা আমের চেয়ে শুধু কাঁচা আমই বেশি উপকারী হবে।
ত্বক ও চোখের জন্য উপকারী
আমের অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যগুলি চীন, পূর্ব এশিয়া এবং কিউবার মতো অঞ্চলে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই নয়, আম আমাদের ত্বক ও চোখকে ফ্রি র্যাডিকেল জনিত বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে।
মস্তিষ্কের বিকাশ ভালো হয়
আমে রয়েছে ভিটামিন বি যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী এবং তাই আমাদেরকে একটু স্মার্ট করতেও উপকারী। এছাড়াও, আমে উপস্থিত ফেনোলিক উপাদান আপনার লিভারের জন্যও স্বাস্থ্যকর এবং আপনাকে প্রদাহ এবং স্থূলতার মতো অবস্থা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
আম খাওয়ার উপকারিতা
তাই আপনি দেখতে পাবেন যে আম শুধু সুস্বাদুই নয় বরং আপনাকে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করে। আম আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য, ত্বক এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী, তাই গ্রীষ্মের সময় আপনাকে অবশ্যই এটি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।