সংক্ষিপ্ত

অতিরিক্ত চিন্তা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। জেনে রাখুন, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের এই সমস্যাটি এতটাই মারাত্মক যে এটি আপনাকে ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের শিকার করে তুলতে পারে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।

যে কোনও বিষয়ে আপনি কি খুব বেশি চিন্তা করেন? দেখুন, যখন পরিস্থিতি নেতিবাচক হয়, তখন টেনশন নেওয়া দরকার, তবে আপনি যদি প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় চিন্তায় ডুবে থাকেন তবে সাবধান। আপনি কি বিষণ্ণতার শিকার হচ্ছেন, কারণ এটি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার দুশ্চিন্তা যদি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, এবং নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, তাহলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন।

কারণ অতিরিক্ত চিন্তা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। জেনে রাখুন, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের এই সমস্যাটি এতটাই মারাত্মক যে এটি আপনাকে ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের শিকার করে তুলতে পারে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।

হার্টের উপর প্রভাব: অতিরিক্ত ও দীর্ঘদিনের চিন্তা দীর্ঘস্থায়ী চাপ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিত্সকরা বলেন যে যখন আমরা উদ্বিগ্ন থাকি, তখন শরীরে নিঃসৃত কর্টিসল হরমোন আমাদের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনকে খুব দ্রুত করে তোলে, যখন এই প্রক্রিয়াটি বারবার ঘটে অর্থাৎ যখন আমরা বারবার দুশ্চিন্তা করি, তখন এর নেতিবাচক প্রভাব রক্তনালীতে পড়ে এবং সেগুলো ফুলে যায়, যার কারণে হৃদরোগের মারাত্মক ঝুঁকি আমাদের উপর ঘোরাফেরা করতে শুরু করে।

স্নায়ুর উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: স্নায়ু আমাদের শরীরে মেসেজিং নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে। যখন আমরা অত্যধিক চিন্তা করি বা কোনও বিষয় নিয়ে অহেতুক স্ট্রেস নিয়ে ফেলি, তখন এটি আমাদের স্ট্রেস হরমোনকে ট্রিগার করে, যা আমাদের হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসকে প্রভাবিত করে। এমন অবস্থায় যদি এই অবস্থা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্রেসের সমস্যা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকে, তাহলে তা রক্তে শর্করা ও স্নায়ুতে সমস্যা সৃষ্টি করে, যার কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্ট্রেস-ডিপ্রেশনে ভুগছেন প্রচুর মানুষ, যাদের চিকিৎসা দ্রুত প্রয়োজন।

ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা: অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল নিঃসরণ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এমন অবস্থায় একজন ডায়াবেটিক রোগী যদি বেশি স্ট্রেস নেন, তাহলে তার রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়, তেমনি রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে চোখ থেকে শুরু করে হৃদরোগ এবং স্নায়ু পর্যন্ত হয়, যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের কাছে অতিরিক্ত চিন্তা করা আরও জটিলতা ডেকে আনার সামিল।