সংক্ষিপ্ত
Daily Habits for a Healthier Life: সুস্থ জীবন কে না চায়? আর যদি সহজেই সুস্থ থাকা যায়, তাহলে কে না চাইবে? ডাক্তারের কাছে না গিয়েও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য দৈনন্দিন কি করতে হবে জেনে নিন।
Daily Habits for a Healthier Life: বড় পরিবর্তনের চেয়ে ছোট ছোট অভ্যাসই দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতার ভিত্তি। দামি জিম বা কঠোর ডায়েটই সব নয়; দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট পরিবর্তনই বড় উপকার বয়ে আনে।
জল পান করুন (Stay Hydrated):
শরীর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত জল পান অপরিহার্য। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করার অভ্যাস করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল পান করলে শরীরের টক্সিন দূর হয়, ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে। খাবার আগে জল পান করলে অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো যায়।
সক্রিয় থাকুন (Stay Active):
প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, বা পছন্দের হালকা ব্যায়াম করলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক চাপ কমে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। কিছুক্ষণ ব্যায়াম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সচেতনভাবে খান (Eat Mindfully):
কি খাচ্ছেন, কিভাবে খাচ্ছেন সেদিকে মনোযোগ দেওয়া স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাড়াহুড়ো করে খাওয়া এড়িয়ে, খাবারের স্বাদ উপভোগ করে খান। খাওয়ার সময় টিভি দেখা বা মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করুন। পেট ভরে গেলে খাওয়া বন্ধ করুন। ভালো করে চিবিয়ে খেলে হজমে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম (Get Enough Sleep):
পর্যাপ্ত ঘুম শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। ঘুমের অভাব নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। নিয়মিত ঘুমের রুটিন মেনে চললে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। ঘুমানোর আগে মোবাইল ও টিভি দেখা এড়িয়ে চলুন।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ (Manage Stress):
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। ধ্যান, যোগ, প্রাণায়াম, প্রিয় শখ, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সাথে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ (Set Small Goals):
সুস্থ জীবনযাপন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। একসাথে বড় পরিবর্তনের চেয়ে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া বেশি কার্যকর। প্রতি সপ্তাহে একটি নতুন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যোগ করার চেষ্টা করুন। যেমন, প্রথম সপ্তাহে ৩০ মিনিট হাঁটা, পরের সপ্তাহে এক গ্লাস বেশি জল পান করা।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা (Regular Check-ups):
রোগের আগেই সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। এটি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় সাহায্য করে।
হাত পরিষ্কার রাখুন (Maintain Hand Hygiene):
রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে হাত পরিষ্কার রাখা অপরিহার্য। খাবার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, বাইরে থেকে আসার পর সাবান ও জল দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া উচিত। সাবান-জল না থাকলে অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
স্ক্রিনের সামনে সময় কমান (Limit Screen Time):
মোবাইল, কম্পিউটার, টিভির ব্যবহার বেড়েছে। অতিরিক্ত স্ক্রিনের সামনে সময় কাটালে চোখের ক্ষতি হয়, ঘুমের সমস্যা, স্থূলতা দেখা দেয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় স্ক্রিনের সামনে কাটান। খাওয়ার সময় এবং ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে স্ক্রিনের সামনে সময় কাটানো এড়িয়ে চলুন। কাজ বা পড়াশোনা ছাড়া অন্য সময় স্ক্রিনের ব্যবহার কমান।
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস (Practice Deep Breathing):
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস মন শান্ত করে, মানসিক চাপ কমায়। শান্ত জায়গায় আরাম করে বসে বা শুয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, কিছুক্ষণ ধরে রাখুন, তারপর ধীরে ধীরে ছাড়ুন। প্রতিদিন কয়েক মিনিট এই অভ্যাস করলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।