- Home
- Lifestyle
- Health
- অসুস্থ হলেই এই ওযুধ খান! ভবিষ্যতে বড় কোনও অসুখ করলে আর কাজ করবেনা অন্য কোনও ওষুধ, জানাচ্ছে গবেষণা
অসুস্থ হলেই এই ওযুধ খান! ভবিষ্যতে বড় কোনও অসুখ করলে আর কাজ করবেনা অন্য কোনও ওষুধ, জানাচ্ছে গবেষণা
সহজ ভাষায় বুঝতে পারলে শরীরে ভারী থেকে ভারী অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব থেমে যায় কারণ 'নিজেরেদের ইচ্ছায় ওষুধ খাওয়ার ফলে রেজিস্ট্যান্স পাওয়ার কমে গিয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করেই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে নিজে খেয়ে ছিলেন।
তাদেরক পরবর্তী সময়ে দেখা গিয়েছে যখন রোগ বাড়তে থাকে এবং ডাক্তার তাদের ওষুধ দেন, তখন রোগ নিরাময় হয় না। কেন জানো? কারণ শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে গিয়েছে।
২০১৯ সালে, একটি নির্দিষ্ট কারণে প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর এই সংখ্যা ২০২০ সালে করোনার কারণে মৃত্যুর প্রায় দ্বিগুণ ছিল।
এই মৃত্যুর উপর একটি গবেষণা করা হয়েছিল। সহজ ভাষায় বুঝতে পারলে শরীরে ভারী থেকে ভারী অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব থেমে যায় কারণ 'নিজেরেদের ইচ্ছায় ওষুধ খাওয়ার ফলে রেজিস্ট্যান্স পাওয়ার কমে গিয়েছে।
ল্যানসেট বিশ্বের একটি স্বনামধন্য মেডিকেল জার্নাল। ওষুধ নিয়ে গবেষণা করেন এমন অনেক গবেষকদের মতে, বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে এর প্রভাব কমতে শুরু করে।
এই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে Azithromycin উল্লেখ করা হয়েছে, যা টফির মতো, চিকিৎসা পরামর্শ ছাড়াই প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহার করা হত।
শুধু তাই নয়, আপনি ভাববেন যে মেডিকেল স্টোরে যে ওষুধ পাওয়া যায় তা ঠিক হবে কারণ সরকারের অনুমোদন ছাড়া ওষুধ বিক্রি হয় না।
সম্পূর্ণ মিথ্যা, দ্য ল্যানসেটের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতে বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিক যা বিক্রি হচ্ছে তার বেশির ভাগ সেন্ট্রাল ড্রাগ রেগুলেটের অনুমোদন ছাড়াই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে মানুষ মেডিকেল স্টোরে গিয়ে নিজের মত অ্যান্টিবায়োটিক কিনে নেন।
কেন এমন হয়-
ভারতে চিকিৎসা ও হাসপাতাল ব্যবস্থা জটিল। এছাড়াও দুই ধরনের প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। অনুরূপ অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ছোট শহরে রোগীদের জন্য নির্ধারিত হয়।
যারা ছোট বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক, তারা ডাক্তারের ফি এড়াতে চান বলে ছোটখাটো রোগের কারণে সেখানে যান না।
এই পরিসংখ্যানগুলি দেখুন, আপনি নিজেই অবাক হবেন
- ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৯ সালে, মোট ওষুধের মধ্যে ৭৭.১ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয়েছিল
- বিশ্বে বিক্রি হওয়া সমস্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ৭২.১ শতাংশ অনুমোদিত ছিল না।
ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং কোর্সটি সম্পূর্ণ করা ভাল-
আপনি যদি কোনও মেডিকেল স্টোর থেকে যে কোনও ধরণের ওষুধ কিনছেন বা কাউকে জিজ্ঞাসা করে বা অন্য কারও প্রেসক্রিপশন দেখে যদি ভাবে আপনারও একই সমস্যা তাই ওষুধও একই হবে তবে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
যে কোনও ধরনের রোগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এর সঙ্গে ডাক্তার আপনাকে যে কোর্সটি বলবেন তা সম্পূর্ণ করুন।