Dinner: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ৯টার পর খাবার খাওয়া শরীরের উপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ জীবনযাপনের জন্য এখন থেকেই খাওয়ার সময় ঠিক করুন। না হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

Dinner Time for Health Benefits: ব্যস্ত জীবনে দেরিতে ঘুম, মধ্যরাতে খাবার খাওয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সবকিছুই ঘুম এবং খাওয়ার প্রাকৃতিক ছন্দকে উল্টে দিতে চায়। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, রাতে ৯টার পর খাবার খাওয়া শরীরের উপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি শুধু হজমে ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং তা ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধি, বিপাকে সমস্যা, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো বড় সমস্যায় রূপ নিতে পারে। এই কারণে রাত আটটার মধ্যে নৈশভোজ সেরে নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। অন্তত রাত ৯টার মধ্যে অবশ্যই ভারী খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। এরপর ভারী খাবার খেলেই শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রাত ৯টার পর খাবার খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব কী কী?

হজমের সমস্যা বাড়ে

রাতের বেলায় আমাদের বিপাকের হার ধীর হয়ে যায়। ফলে রাত ৯টার পর খেলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। এর ফল গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজম, পেট ভার লাগা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

ঘুমের সমস্যা

খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে শরীর ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে পারে না। পেটে গ্যাস জমে যায়, বুকে জ্বালা, অস্বস্তি এবং অনিদ্রা দেখা দেয়। ভালো ঘুমের জন্য ডাক্তাররা ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা আগে খাবার খাওয়ার পরামর্শও দেন।

ওজন বৃদ্ধি

রাতে শরীর ক্যালোরি পোড়াতে পারে না, তাই তা চর্বি হিসেবে জমা হয়। ফলে বাড়ে ওজন ও মেদ। নিয়মিত এমন হলে মেটাবলিক সিনড্রোম হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

রাতের খাবারের পরে দ্রুত ঘুমোতে গেলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। সময়ের সাথে সাথে তা টাইপ টু ডায়াবেটিসে রূপ নিতে পারে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

রাতে দেরিতে খেলে কর্টিসল ও ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা খিটখিটে মেজাজ, ক্লান্তি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।