সংক্ষিপ্ত
তুলসী পাতা অনেক ঔষধি গুণের ভান্ডার, এতে প্রায় ২৬ ধরনের খনিজ পাওয়া যায়, এই কারণে এই খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো উত্তম বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নিই তুলসীর উপকারিতা সম্পর্কে।
তুলসী বা বেসিল ভারতে বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর গাছ অবশ্য দেশের বেশিরভাগ বাড়িতেই পাওয়া যাবে। সুস্বাস্থ্য থেকে শুরু করে চায়ের স্বাদ বাড়াতে আমরা তুলসী ব্যবহার করে থাকি। লক্ষ লক্ষ বছর আগে ভারতের মুনি-ঋষিরা তুলসীর ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে জানতেন, তাই এটিকে প্রতিদিন ব্যবহার করার জন্য এত গুরুত্ব দেওয়া হত। আয়ুর্বেদে তুলসীর উপকারিতা বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তুলসী পাতা অনেক ঔষধি গুণের ভান্ডার, এতে প্রায় ২৬ ধরনের খনিজ পাওয়া যায়, এই কারণে এই খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো উত্তম বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নিই তুলসীর উপকারিতা সম্পর্কে।
তুলসী কি?
তুলসী একটি ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ উদ্ভিদ যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া যায়। সকল রোগ নিরাময় ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির গুণে পরিপূর্ণ এই ঔষধি গাছটিকে প্রত্যক্ষ দেবী বলা হয়েছে কারণ এর চেয়ে উপকারী আর কোনও ওষুধ মানব জাতির জন্য নেই। তুলসীর ধর্মীয় গুরুত্বের কারণে প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় এই গাছ লাগানো হয়। তুলসীর অনেক জাত রয়েছে। যার মধ্যে সাদা-কালো বিশিষ্ট। এদেরকে রাম তুলসী ও কৃষ্ণ তুলসীও বলা হয়।
তুলসীর উপকারিতা-
তুলসী ভিটামিনের একটি চমৎকার উৎস এবং এটি ছাড়াও এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-এ ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকর। তুলসীর ব্যবহার দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। তুলসীর তেল ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এর অক্সিডাইজিং সম্পত্তি বাত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য উপকারী এবং আপনিও তুলসীকে আপনার রান্নাঘরের একটি অংশ বানাতে পারেন।
তুলসীর অন্যান্য উপকারিতা
১) তুলসী পাতা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
২) তুলসী পাতা মাথা ব্যথায় আরামদায়ক।
৩) সাইনোসাইটিস বা আর্থ্রাইটিসে উপকারী
৪) কানের ব্যথা এবং যে কোনও ফোলা রোগে উপকারী
৫) তুলসী স্টোন অপসারণে উপকারী
৬) তুলসী দাঁতের ব্যথা এবং কাশিতে উপশম দেয়
তুলসীকে রান্নাঘরের একটি অংশ করুন
তুলসী বহুকাল ধরে ভারতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং রান্নাঘরের একটি অংশ হিসেবে রয়ে গেছে। এটি বিশেষভাবে চায়ের স্বাদ সমৃদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়। চায়ের স্বাদ বাড়াতে তুলসীর ৪-৫টি পাতাই যথেষ্ট। এছাড়াও এটি ক্বাথ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। তুলসী ব্যবহার করার সঠিক উপায় হল এটি শেষ যোগ করা। তুলসী প্রকৃতিতে অ্যাসিডিক এবং অতিরিক্ত রান্না করলে এর পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়।