স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে কিছুটা হলেও হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে পাতাযুক্ত সবজি, বেরি জাতীয় ফল, ডাল, ফ্যাটি মাছ, টমেটো, বিটরুট, আপেল, কমলা, বাদাম এবং বীজ খাওয়া উপকারী।
অল্প বয়সে নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বকের সমস্যা। এছাড়া ডায়াবেটিস, হরমোন জনিত সমস্যা কিংবা অন্যান্য রোগ তো আছেই। এই সকল রোগের মধ্যে অত্যাধিক মাত্রায় বাড়ছে হার্টের রোগ। এই হার্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সময় থাকতে সতর্ক হন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে কিছুটা হলেও হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার মতো কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. পাতাযুক্ত সবজি
ভিটামিন এ, সি, ই, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ পালং শাকের মতো পাতাযুক্ত সবজি খাওয়া হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
২. বেরি জাতীয় ফল
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি বেরি জাতীয় ফল খাওয়াও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
৩. ডাল জাতীয় খাবার
ফাইবার, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডাল জাতীয় খাবার খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৪. ফ্যাটি মাছ
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ ফ্যাটি মাছ ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৫. টমেটো
লাইকোপিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ টমেটো খাওয়াও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
৬. বিটরুট
নাইট্রেট সমৃদ্ধ বিটরুটও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। এতে রোগ থেকে মিলবে মুক্তি।
৭. আপেল, কমলা
আপেল, কমলা ইত্যাদি ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের ভালো উৎস। তাই এগুলি খাওয়াও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য উপকারী।
৮. বাদাম এবং বীজ
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ বাদাম এবং বীজ খাওয়াও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
তবে, কোনও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়ার পরেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। সময় থাকতে সচেতন না হলে দেখা দিতে পারে নানান রোগ। তাই মেনে চলুন এই সকল টোটকা। এতে আপনিই থাকবেন সুস্থ।


