সংক্ষিপ্ত
প্রবল এই গরমে আর তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের মত রোগের প্রকোপে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রবল গরম পড়়েছে। কলকাতার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িছে। তাপপ্রবাহ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গের জন্য। আপাতত এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এই অবস্থায় দীর্ঘ তাপপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচার জন্য রইল ১০টি সহজ উপায়। ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
প্রবল এই গরমে আর তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের মত রোগের প্রকোপে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ত্বক আর চুলের সমস্যাও দেখা দেয় এই গরমে। তাই রইল গরম থেকে বাঁচার সহজ সহজ ১০টি উপায়ঃ
১। গরমকালে হালকা সুতোর পোশাক পরুন। এতে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি অস্বস্তি দূর হয়। এই গরমে সিন্থেটিক বা টেরিকটের পোশাক পরবেন না। ফুলহাতে জামা পরার চেষ্টা করুন।
২। প্রয়োজন ছাড়ার দুপুর রোগে বাড়ির বাইরে যাবেন না। একান্ত প্রয়োজন হলে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন। বাইরে যাওয়ার আগে সঙ্গে অবশ্যই জল রাখুন।
৩। গরম আর ঘামের কারণে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রচুর জল পান করতে হবে। সরবত খেতে পারেন।
৪। গরমকালে নুন চিনির জল, লেবুর জল প্রচুর পরিমাণে খান। এই সময়ে প্রচুর ঘাম হয়, তাই সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই টক জাতীয় খাবার খান।
৫। গ্রীষ্মকারে রসালো ফল খান। জলভরা তাজা ফল খেলে পেটের সমস্যা দূর হয়। এই সময় তরমুজ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে।
৬। প্রচুর তেল মশলা জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। হালকা খাবার খান। সবজি ও শাক বেশি করে খান।
৭। এই গরমে ঘাম বেশি হয়। তাই প্রস্রাব কম হয়। কিন্তু দিনে ৪-৬ বার প্রস্রাব হওয়া জরুরি। প্রস্রাব হলুদ রঙের হলে চিকিৎসকের পরিমর্শ নিন।
৮। শিশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ৩-১৫ বছরের শিশুদের ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই শিশুদের প্রচুর জল খাওয়ান। তাদের কোল্ডড্রিঙ্কং খেতে দেবেন না। প্রতিদিন ১০ গ্লাস জল খেতেই হবে।
৯। শিশুদের ঢিলেঢালা পোশাক পরান। তাতে গরমের অস্বস্তি কমবে। অসহ্য লাগবে না।
১০। ছোট বড় সকলেরই দিনে কমপক্ষে দুই বার স্নান করা জরুরি। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। তিন থেকে চারবারও স্নান করতে পারেন। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় থাকলে স্নান কম করুন। বাইরে গরম থেকেই এসি লাগানো জায়গায় যাবেন না। তাতে সর্দিকাশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।