গরমে বদহজম, পেট ফাঁপা, গলা জ্বালায় জিরের জলের উপকারিতা অপরিসীম। রোজ সকালে এক গ্লাস জিরের জল পানে পেটের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।
এই গরমে কোন খাবারই সহ্য হয় না পেটের। বাইরের খাবার তো দূরের কথা, ঘরের খাবারও হজম হয় না ঠিক করে। বদহজম, পেট ফাঁপা, গলা বুক জ্বালা তো লেগেই থাকে। খেতে ইচ্ছে করে না একেবারেই। তবে উপায়?
জিরের জল। রোজ সকালে এই পানীয় এক গ্লাস খেলেই প্রাকৃতিকভাবে মিলবে সব সমস্যা থেকে মুক্তি। বাড়িতেই বানাতে পারেন এই পানীয়। সব উপকরণ পাবেন নিজের রান্নাঘরেই। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার সঙ্গে, গোটা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে জিরে ভেজানো জল।
জিরের উপকারিতা
১। জিরে শরীরে ডাইজেস্টিভ হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। ফলে প্রাকৃতিকভাবে পেট ফাঁপা, বদহজম, গ্যাস অম্বলের মত সমস্যা দূর হয়। বিপাক হার বৃদ্ধি পায়।
২। পেটের সমস্যা দূর হয়, অন্ত্র ভালো থাকে, তাই জিরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে উপকারী। সকালে খালি পেটে খেলে সব থেকে বেশি উপকার মেলে।
৩। জিরেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস থাকে যা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। সঙ্গে শরীরের ফ্রি ৱ্যাডিকেলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা ভেতর থেকে ডিটক্সিফাই করে শরীরকে, সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৪। জিরেতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রেবিয়াল এবং প্রদাহ নাশক উপাদান অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাও দূরে রাখে। নিয়মিত এর সেবন শরীরে অস্বাভাবিক কোন ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে থাকে।
৫। যারা ওজন ঝড়াতে চেষ্টা করছেন, রোজ সকালে নিয়মিত জিরার জল সেবন করতে পারেন তারা। জিরা মেটাবলিজম রেট বাড়ায়, ফলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে দেয় না এবং জমা ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে।
৬। ডায়াবেটিস রোগীরা জিরার জল পান করতে পারেন। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। জিরার জল ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
৭। প্রাচীন চিকিৎসাবিদ্যায় দেখা গেছে, উষ্ণ জিরের জল শ্বাসকষ্ট দূর করতে সক্ষম ছিল। এই জল শ্বাসনালী ও শ্বাসযন্ত্র পরিষ্কার করে ও প্রদাহ নাশ করে। ফলে শ্বাসকার্য উন্নত থাকে।
কী ভাবে বানাবেন জিরের জল?
উপকরণ:
১ কাপ জিরে
১ লিটার জল
আধ চা চামচ চাট মশলা
আধ চা চামচ গোলমরিচ
১ চা চামচ বিট নুন
২টি লেবুর রস
সামান্য গুড়
প্রণালী :
৬-৭ ঘণ্টা জিরে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে, সেরকম হলে সারা রাত ধরে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। একটি পাত্রে জিরে ভেজানো জল নিয়ে আগুনে বসান। জল ফুটে উঠলে বাকি সব উপকরণ দিতে হবে একে একে। আঁচ কমিয়ে ফুটতে দিতে হবে আরও কিছুক্ষণ। জল কমে অর্ধেক হলে গ্যাস বন্ধ করুন। জিরের জল ঠান্ডা হয়ে এলে ছেঁকে ফ্রিজে রেখে দিন। গোটা মাস ভাল থাকবে ফ্রিজে রাখলে।