ম্যাগনেসিয়ামের অভাব অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণ হতে পারে। এটি হৃদপিণ্ডের ধড়ফড়ানি বা অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের দিকে নিয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতোই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। প্রধানত হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতাকেই এটি প্রভাবিত করে। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে এই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।
ম্যাগনেসিয়ামের অভাব অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণ হতে পারে। এটি হৃদপিণ্ডের ধড়ফড়ানি বা অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের দিকে নিয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম না পেলে রক্তনালী সংকুচিত হয়। এটি রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। হৃদযন্ত্র ধীরে ধীরে এর থেকে মারাত্মক চাপ অনুভব করতে পারে।
পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম না থাকলে, হৃদপিণ্ডের পেশী টিস্যু দুর্বল হয়ে পড়ে। সময়ের সাথে সাথে, এই দুর্বলতা কার্ডিওমায়োপ্যাথি নামক একটি অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে। যেখানে হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করতে ব্যর্থ হয়। এটি ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, হার্ট ফেইলিওর ইত্যাদির কারণ হতে পারে।
ম্যাগনেসিয়ামের অভাব রক্ত জমাট বাঁধার দিকেও নিয়ে যেতে পারে। সুস্থ রক্ত প্রবাহ বজায় রাখতে এবং অপ্রয়োজনীয় রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করতে ম্যাগনেসিয়াম সাহায্য করে। খুব কম ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়।
ম্যাগনেসিয়াম পাওয়ার জন্য খাওয়ার খাবার
১. চিয়া সিড (৩০ গ্রাম চিয়া সিডে ৯৫ মাইক্রোগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে) খেতে পারেন। মিলবে উপকার।
২. কলা (একটি কলায় ৩২ মাইক্রোগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে) খেতে পারেন। মিলবে উপকার।
৩. পালং শাক খান রোজ। মিলবে উপকার।
৪. বাদাম (৩০ গ্রাম বাদাম থেকে ৮০ মাইক্রোগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।) রোজ খেতে পারেন। মিলবে উপকার।
৫. মরিঙ্গা পাতা (১০০ গ্রাম মরিঙ্গা পাতায় ১৫০ মাইক্রোগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে)। খান নিয়ম করে। সুস্থ থাকবেন।
৬. কুমড়োর বীজ খেতে মিলবে উপকার।
৭. অ্যাভোকাডো শরীর রাখবে সুস্থ। নিয়ম করে খেতে পারেন। মিলবে উপকার। সহজে দূর হবে নানা রকম স্বাস্থ্য জটিলতা।
