রোজ যা যা খাচ্ছেন, তার থেকে পুষ্টি হচ্ছে তো? বাইরে থেকে দেখে অনেক সময়েই বোঝা যায় না। তবে শরীর কিছু লক্ষণে জানান দেয় যে সঠিক পুষ্টির অভাব হচ্ছে।
প্রচুর খাবার খেয়েও পুষ্টি হচ্ছে না বোঝাতে শরীর কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে।যেমন অতিরিক্ত ক্লান্তি, চুল বা ত্বকের সমস্যা, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। এই লক্ষণগুলো নির্দিষ্ট ভিটামিন বা খনিজ যেমন - আয়রন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, জিঙ্ক এবং ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবে হতে পারে।
আপনি পছন্দের খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খেয়েও কেন লাভ পাচ্ছেন না। আসলে যতই খান না কেন, কী কী রোজ খাচ্ছেন ও কতটা পরিমাণে, তা গুরুত্বপূর্ণ। এর উপরেই নির্ভর করবে শরীর সঠিক মাত্রায় পুষ্টি পাচ্ছে কি না। যদি পুষ্টির ঘাটতি হয়, তা হলে সেই উপসর্গও দেখা দিতে থাকবে। এমন কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে, যা সাধারণই মনে হবে। অথচ সেই সব লক্ষণই জানান দেবে, ঠিক কোন কোন ভিটামিন ও খনিজের অভাব হচ্ছে।
** ভিটামিন ও খনিজের অভাবের লক্ষণ গুলি কী কী:
প্রচুর ক্লান্তি এবং দুর্বলতা: খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এবং সামান্য কাজেই হাঁপিয়ে ওঠা আয়রন, ভিটামিন বি১২ বা বি কমপ্লেক্সের অভাবের লক্ষণ হতে পারে।
চুলের সমস্যা: অতিরিক্ত চুল পড়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা শুষ্ক ও ভঙ্গুর চুল প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক বা বায়োটিনের অভাবে হতে পারে।
ত্বকের সমস্যা: ত্বক শুষ্ক, খসখসে, ফ্যাকাশে বা রুক্ষ হয়ে যাওয়া অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ বা ভিটামিন সি-এর অভাব নির্দেশ করে।
নখের সমস্যা: নখ সহজে ভেঙে যাওয়া বা নরম হয়ে যাওয়াও পুষ্টির অভাবের একটি লক্ষণ হতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা বা অসুস্থ হয়ে পড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ, যা জিঙ্ক, ভিটামিন সি বা ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারণে হতে পারে।
অস্থিরতা ও মনোযোগের অভাব: মনোযোগ ধরে রাখতে অসুবিধা, অস্থিরতা বা খিটখিটে ভাব ভিটামিন বি৬, বি১২, বা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবে হতে পারে।
মাড়ির সমস্যা: মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা ফোলা ভিটামিন সি-এর অভাবের একটি সাধারণ লক্ষণ।
চোখের সমস্যা: রাতে দেখতে অসুবিধা হওয়া বা চোখে ঝাপসা দেখা ভিটামিন এ-এর অভাবের কারণে হতে পারে।
হাড়ের দুর্বলতা: হাড়ে ব্যথা, দুর্বল হাড় বা সহজে হাড় ভেঙে যাওয়া ভিটামিন ডি বা ক্যালসিয়ামের অভাবের লক্ষণ হতে পারে।
সমাধান কি হতে পারে : সুষম খাদ্য গ্রহণ: খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি, শস্য, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অন্তর্ভুক্ত করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি মনে হয় কোনো নির্দিষ্ট ভিটামিন বা খনিজের অভাব রয়েছে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারেন।
সূর্যের আলো: ভিটামিন ডি-এর জন্য প্রতিদিন কিছু সময় সূর্যের আলোতে থাকুন।
