শীতকালে নিরাপদে হাঁটার জন্য নিচে দেওয়া কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন। সেগুলো কী কী, তা এখানে দেখে নেওয়া যাক।

শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন হাঁটা, দৌড়ানো, জগিংয়ের মতো সহজ এবং উপকারী ব্যায়াম করুন। বিশেষ করে প্রতিদিন হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, হার্ট শক্তিশালী হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের ওজন, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া মানসিক চাপ কমে এবং সারাদিন শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

তবে শীতকালে হাঁটা কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। আবহাওয়ার তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রাও কমে যায়। এর ফলে পেশী শক্ত হয়ে যায়। এই সময়ে হাঁটলে আঘাত লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও, ঠান্ডা বাতাস সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাদের হাঁপানির মতো সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। তবুও, আপনি যদি শীতকালে নিরাপদে এবং স্বাস্থ্যকরভাবে হাঁটতে চান, তবে আপনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এখানে দেওয়া হল।

শীতকালে হাঁটার সময় যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে:

১. ওয়ার্ম-আপ জরুরি:

শীতকালে হাঁটা বা দৌড়ানোর আগে আপনার পেশী প্রস্তুত করার জন্য অবশ্যই ওয়ার্ম-আপ করতে হবে।

২. সঠিক পোশাক পরুন:

শীতকালে হাঁটার আগে হালকা বা গরম পোশাক পরুন। বিশেষ করে আপনার কান, মাথা এবং হাত ঢাকা খুব জরুরি।

৩. সময় পরিবর্তন করুন:

আবহাওয়া খুব ঠান্ডা বা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলে, দুর্ঘটনা এড়াতে সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পরে হাঁটতে যান।

৪. মাস্ক পরুন:

দূষিত এলাকার মধ্যে দিয়ে হাঁটার সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা এড়াতে মাস্ক পরতে ভুলবেন না।

৫. হাইড্রেটেড থাকুন:

হাঁটার সময় এবং পরেও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।

৬. স্বাস্থ্যকর খাবার খান:

হাঁটার পরে হারানো শক্তি ফিরে পেতে পুষ্টিকর খাবার খান।

মনে রাখবেন:

- যাদের সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট আছে, তাদের বাইরে না হেঁটে বাড়িতেই হাঁটা উচিত, নাহলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

- হেঁটে বাড়ি ফেরার পর সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরিবর্তন না করে প্রায় ৫-১০ মিনিট পর পরিবর্তন করুন।