সংক্ষিপ্ত
গুড় বাদাম, কাজুবাদাম, চিনাবাদামের মতো বাদামের সাথে খাওয়া আরও স্বাস্থ্যকর। এই বাদামগুলিতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে।
প্রাচীনকাল থেকেই আমরা গুড় ব্যবহার করে আসছি। গুড় হজমে সাহায্য করে। গুড়ে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি খনিজ পদার্থ রয়েছে।
অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় গুড় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। গুড়ে ফেনোলিক অ্যাসিড থাকে যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গুড় খাওয়া রক্ত পরিশোধন করতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে বিভিন্ন রক্তের সমস্যা এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গুড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
গুড় বাদামের সাথে খাওয়া আরও স্বাস্থ্যকর। বাদাম, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি চিনির শোষণকে ধীর করে এবং রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে।
এলাচ, দারচিনি, জিরা ইত্যাদি মশলা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস গুড়ের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
গুড়ের আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। গুড়ে ফাইবার থাকে যা ক্ষুধা কমাতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
তাই এই শীতে খেতে পারেন গুড়। গুড় খাওয়ার বিষয় বারে বারে সম্মতি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী, অনেকে বলেছেন সুগারের রোগীরাও খেতে পারেন গুড়। তবে, এই বিষয় সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন। তা না হলে পরে দেখা দিতে পারে সমস্যা।