গরমের এক কষ্ট, শীতের আর এক। ঠান্ডার সময় হাঁটু, কোমরের ব্যথা বড্ড ভোগায়। বিশেষত বয়স্কদের কষ্টের শেষ থাকে না। অনেকেই বাতের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন। শীত এলেই তাই ব্যথা-কষ্টের ভয় বাড়ে। তবে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে সহজেই।
শীতকালে অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে পাঁচটি কৌশল অবলম্বন করা উচিত।শরীরকে উষ্ণ রাখা, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করা, উষ্ণ সেঁক ব্যবহার করা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
শীতের ঠান্ডা থেকে জয়েন্টগুলোকে বাঁচিয়ে চলা উচিত। যেমন গরম পোশাক পরা এবং ঘরে উষ্ণ থাকার ব্যবস্থা করা, ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
** ৫টি কৌশল কি কি মেনে চলবেন যেমন :
** শরীরকে উষ্ণ রাখুন:
* ঠান্ডা লাগলে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা বাড়ে, তাই সারা শরীর গরম রাখা জরুরি।
* বাইরে বের হওয়ার সময় স্তরে স্তরে পোশাক পরুন, যেমন থার্মাল আন্ডারওয়্যার, উলের মোজা, এবং হাতে গ্লাভস পরুন।
* হাঁটুতে ক্যাপ বা বিশেষ ধরনের হোলস্টার ব্যবহার করতে পারেন।
* ঘরে থাকলে বৈদ্যুতিক কম্বল, গরম জল দিয়ে স্নান বা গরম জলের বোতল ব্যবহার করতে পারেন।
** নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং:
* হাঁটাচলার মতো হালকা ব্যায়াম জয়েন্টগুলোকে সচল রাখতে সাহায্য করে।
* মৃদু স্ট্রেচিং বা স্ট্রেচিং ব্যায়াম শক্ত এবং আঁটসাঁট পেশী ও টেন্ডনকে শিথিল করতে পারে, যা পিঠের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। তবে, কোনো নতুন ব্যায়াম শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
** উষ্ণ সেঁক ব্যবহার করুন:
* ব্যথার জায়গায় গরম জলের সেঁক বা হিট প্যাক ব্যবহার করলে আরাম পাওয়া যায়।
* গরম জলের বোতল বা হিটিং প্যাড ব্যবহার করে ব্যথা উপশম করতে পারেন।
** সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টি:
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন, যা হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জয়েন্টের ব্যথার কারণ হতে পারে।
** প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
যদি ব্যথা খুব বেশি হয় এবং ঘরোয়া উপায়ে না কমে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে যাদের আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার ক্ষেত্রে সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার প্রয়োজন।
