সংক্ষিপ্ত
হাত বা শরীরের কোনও অংশে হালকা পুড়ে গেলে বা ছ্যাঁকা লেগে ফোসকা পড়লে কী করবেন, এর জন্য বেশি ভাবতে হবে না। কারণ বাড়িতেই কিছু ঘরোয়া সমাধানে আপনি চটজলদি আরাম পেতে পারেন।
কালীপুজোর রাতে বাজি ফাটাবেন তাই হয়! বড়রা হয়ত সাবধানেই বাজি ফাটান, কিন্তু শিশুদের সঙ্গে ঘটতে পারে যে কোনও ধরণের দুর্ঘটনা। বড়রাও অনেক সময় অসতর্ক হলে হাত পুড়ে যেতে পারে বাজির আগুন। এছাড়াও অনেক সময়ই বাজি ফাটাতে গিয়ে আগুনে ছ্যাঁকা খান অনেকে। বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু ছোটখাট ঘটনায় বাড়িতেই চিকিৎসা করতে পারেন।
হাত বা শরীরের কোনও অংশে হালকা পুড়ে গেলে বা ছ্যাঁকা লেগে ফোসকা পড়লে কী করবেন, এর জন্য বেশি ভাবতে হবে না। কারণ বাড়িতেই কিছু ঘরোয়া সমাধানে আপনি চটজলদি আরাম পেতে পারেন।
শরীরের যে অংশই পুড়ুক আর যতটুকুই পুড়ুক, সঙ্গে সঙ্গে পোড়া অংশ বরফ ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন। এছাড়া আপনি ওই পোড়া অংশে ঠান্ডা বা বরফ কম্প্রেস করতে পারেন। পোড়া অংশে ঠান্ডা কম্প্রেস করলে ব্যথা, ফোলাভাব এবং দাগ পড়ার ঝুঁকি কমে যাবে।
হাতের কাছে পুড়ে যাওয়ার মলম রাখুন। বরফ ঠান্ডা জলে পোড়া অংশ ডুবিয়ে রাখার পর মলম লাগিয়ে নিন। এরপর ওই অংশে ভেসলিন গজ লাগিয়ে নিন। আলগাভাবে বাঁধবেন। এতে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
পুড়ে যাওয়া স্থানে সাবান বা কোনও প্রকার প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করা চলবে না। পোড়া জায়গা শুকনো না হওয়া পর্যন্ত কোনও ক্রিম লাগাবেন না।
পুড়ে যাওয়া অংশে ভেষজ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করবে।
পুড়ে যাওয়া অংশে আপনি মধু লাগাতে পারেন। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য দ্রুত ক্ষত সারিয়ে তোলে।
নারকেল তেল পুড়ে যাওয়া ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ সহায়ক। নারকেল তেলের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে যা ত্বকে পোড়া দাগ পড়তে দেয় না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।