বিশেষজ্ঞদের কথায় বসন্তকালে তেতো খাওয়া স্বাস্থ্য়ের জন্য জরুরি। বিশেষজ্ঞদের কথায় বসন্তকাল মানে এক ঋতু থেকে অন্য ঋতুতে যাওয়া।

বসন্ত মানেই দক্ষিণী হাওয়া আর নানা ধরনের ফুল। কিন্তু বসন্ত আসার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে আসে একগুচ্ছ রোগ। জাপানে প্রবাদ রয়েছে বসন্তে খাবারের থাকায় অবশ্যই পাতে রাখতে হবে তেতো। আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গেও বসন্ত কাল মাসেই নিমপাতা, উচ্চে-সহ নানা ধরনের তেতো খাওয়া। কিন্তু কেন এই রেওয়াজ?

বিশেষজ্ঞদের কথায় বসন্তকালে তেতো খাওয়া স্বাস্থ্য়ের জন্য জরুরি। বিশেষজ্ঞদের কথায় বসন্তকাল মানে এক ঋতু থেকে অন্য ঋতুতে যাওয়া। আবহাওয়ার বদল, সেই সঙ্গে পরিবেশেরও বদল। এই সময় পরিবেশে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। চিকেন পক্স, ফ্লু, ডায়েরিয়ার মত একাধিক রোগ এই সময়ই হয়। তেতো খাওয়ার অর্থ হল এজাতীয় রোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক উপায়ে লড়াই করা।

বসন্তকালে সাধারণ নিত্যদিন পাতে রাখা উচিৎ নিমপাতা, উচ্ছে, করলা, সজনে ডাঁটা, সজনে ফুল, হেলেঞ্চা শাক, ব্রাহ্মীশাক, মেথি, থানকুনিপাতা। আর সেই কারণেই প্রাচীনকাল থেকেই এজাতীয় খাবারগুলি রেওয়াজ রয়েছে বাংলায়।

চিকিৎসকদের কথায় সংশ্লিষ্ট তেতোগুলিতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে। তেতোর মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য। তেতো খাবারে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। শরীরে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণের ঘাটতিও বাড়াতে পারে তেতো খাবার। হজম শক্তি উন্নত করে। তেতোতে মুখের স্বাদ বাড়তে পারে।

তেতো খাবারের উপকারিতাঃ

১। ডিটক্সিফিকেশন

তেতো সবজি বা শাক শরীর থেকে বর্জ্য বিষাক্ত পদার্থ বার তরতে কার্যকরী। লিভার ভাল রাখে।

২। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি

তেতো সবজি বা শাক হজমশক্তি বাড়ায়। পাচনক্রিয়া উন্নত হয়। তেতো খাবার খিদে বাড়ায়।

৩। রক্ত পরিশোধন

তিক্ত খাবার রক্তকে শুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ বা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

৪। প্রদাহজনিত সমস্যা

রোগের উপশম ঘটায় তেতো খাবার। এর ফলে স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও তা উপকারী হিসেবে গণ্য করা হয়।

৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

তেতো খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। বসন্তকালে ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে তেতো খাবার জরুরি।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।