Blood Pressure Control: বুক ধড়ফড় করছে, মাথা ঘোরা বা বমি ভাব রয়েছে, চোখের সামনে সব অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন, তা হলে সতর্ক হয়ে যান। হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় হাতের কাছে ওষুধ থাকা জরুরি। এই প্রতিবেদনে ঘরোয়া কিছু উপাদানের কথা উল্লেখ করা হল।
High Blood Pressure Control: বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কম ঘুম, অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এর অন্যতম কারণ। একসময় যা বয়স্কদের সমস্যা হিসেবে ধরা হতো, এখন সেটাই ৩০-এর ঘরে পৌঁছনোর আগেই দেখা যাচ্ছে বহু তরুণ-তরুণীর মধ্যে। তাই হাতের কাছে সব সময়েই ওষুধ মজুত করে রাখতে হয়। হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে তা হৃদযন্ত্রের উপর বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে। বুক ধড়ফড় করছে, মাথা ঘোরা বা বমি ভাব রয়েছে, চোখের সামনে সব অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন, সেই সঙ্গেই হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরছে, তা হলে সতর্ক হতেই হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধ হাতে না থাকলে কী করবেন? নীচে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ও সহজ করণীয় দেওয়া হলো যা সাময়িকভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
ওষুধ ছাড়াই রক্তচাপ সাময়িকভাবে কমানোর কার্যকর উপায়
ডিপ ব্রিদিং
রক্তচাপ খুব তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্বাসের ব্যায়ামই আদর্শ। শান্ত হয়ে বসে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন, কিছুক্ষণ ধরে রেখে মুখ দিয়ে ছাড়ুন। ১০-২০ সেকেন্ড ধরে এই পুরো প্রক্রিয়াটি পর পর তিনবার করলেই রক্তচাপ বশে থাকবে। এই পদ্ধতি শরীরের প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে অত্যধিক উত্তেজনা, অস্থিরতা কমে যায়। হৃৎস্পন্দনের হারও নিয়ন্ত্রিত হয়।
ঠান্ডা জলের ঝাপটা
মাথা, ঘাড়, মুখ ও পায়ের পাতায় ঠান্ডা জল দিলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে রক্তজালিকাগুলির মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমে, অস্বস্তি কমে।
লেবুর জল
এক গ্লাস কুসুম গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরে পটাশিয়াম সরবরাহ হয়, তবে খেতে হবে নুন বা চিনি ছাড়া। এতে শরীরে জল ও খনিজের ঘাটতি অনেকটা মিটে যাবে। লেবুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে শক্তির জোগান দেবে।
ধীরে ধীরে জল পান করুন
বুক ধড়ফড় করা বা মাথা ঘোরা অনুভব করলে ধীরে ধীরে জল পান করুন। এতে শরীর হাইড্রেট হবে ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। তবে ভুলেও নরম পানীয় বা সোডা খেতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।
তুলসী পাতা ও রসুন
রসুনে থাকে অ্যালিসিন নামে একটি যৌগ, যা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তুলসী পাতার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া তুলসীর প্রদাহনাশক গুণও রয়েছে। দিনে এক কোয়া রসুন বা ৫-৭টি তুলসী পাতা চিবিয়ে বা জলে ভিজিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এই দুটি উপাদানই রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে রাখতে জমাট বাধঁতে দেয় না এবং শরীরে প্রদাহ কমায়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


