health news: চিয়া সিড বা তিসি বীজ তো অনেকেই খান ওজন কমাতে কিন্তু আগেকার দিনের মত কাঁচা ছোলা খাওয়া টাও যে কতটা উপকারি তা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন। যা স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।

তিসি বীজ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এক অত্যন্ত জনপ্রিয় সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। ছোট এবং সোনালী বা বাদামী রঙের এই বীজটি ছোট থেকে বড় সবার জন্যই স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান। হাজার হাজার বছর আগে প্রাচীন সভ্যতাগুলিতে খাদ্য ও ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত তিসি বীজ আজকাল এক অন্যতম স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিনের কারণে এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই এখন সকাল বেলা তিসি বীজ বা চিয়া সিড খান আবার কেউ উষ্ণ গরম জলে মধু লেবু দিয়ে পান করেন।তবে আগেকার দিনে কাঁচা ছোলা রাত্রেবেলা ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা সেই কাঁচা ছোলা এক টুকরো ছোট গুড়ের সাথে খাওয়ার চল ছিল। আগেকার দিনে সবাই বলতেন সকালে কাঁচা ছোলা খেলে ছোলার অনেক পুষ্টিগত গুণ আমাদের শরীরে খুবই উপকারী প্রভাব ফেলে।

জেনে নেওয়া যাক কাঁচা ছোলা খেলে কি কি উপকার আমরা পেতে পারি।

ছোলা পুষ্টিকর একটি শস্যদানা। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। সকালে কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায় ছোলা। রাতে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একইসঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাবে।

* কফ ভালো হয় শ্বাসনালিতে জমে থাকা পুরনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনো ছোলা ভাজা। ছোলা বা বুটের শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই ছোলায় ও ছোলাওওর শাকে। ডায়াটারি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

* অস্থির ভাব দূর ছোলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়।

* খাদ্যনালি ভালো রাখে ছোলা খাদ্যনালিতে ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমায়। এছাড়া ছোলার শর্করা গ্লুকোজ হয়ে দ্রুত রক্তে যায় না। তাই ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য ছোলা খুবই উপকারী খাবার।

* রক্তের চর্বি কমায় ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড। এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়, বরং চর্বি কমায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়।

* স্বাস্থ্যবান বানায় আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক যে কোনো অসুখের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছোলা খাওয়ার পর বেশ অল্প সময়েই হজম হয়। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে ছোলাকে গুঁড়ো করে সেই ছাতু ব্যবহার করা হয়। যাদের ওজন বাড়ানো প্রয়োজন হয়, তারা এই ছোলার ছাতু খেতে পারেন।

* হৃদপিণ্ডের রোগ সারায় অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।