সংক্ষিপ্ত

ভারতে ২৭.৫ মিলিয়ন পুরুষ ও মহিলা সন্তানের জন্মদিতে অক্ষম। যদিও ভারতে এখনও সন্তানের জন্মদিতে না পারার জন্য মহিলাদের বেশি করে দায়ী করা হয়। কিন্ত সন্তানের জন্ম শুধুমাত্র মহিলাদের ওপরেই নির্ভর করে না।

 

মানুষের লাইফস্টাইল উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দুর্বলতা আর বেশ কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে। ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকশন অনুসারে ভারতে ২৭.৫ মিলিয়ন পুরুষ ও মহিলা সন্তানের জন্মদিতে অক্ষম। যদিও ভারতে এখনও সন্তানের জন্মদিতে না পারার জন্য মহিলাদের বেশি করে দায়ী করা হয়। কিন্ত সন্তানের জন্ম শুধুমাত্র মহিলাদের ওপরেই নির্ভর করে না। পুরুষ ও মহিলাদের দুজনের ওপরে নির্ভর করে।

সম্প্রতি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে পুরুষ ফ্যাক্টর কারণে বন্ধ্যাত্ব সবক্ষেত্রেই ৪০-৫০ শতাংশ হয়ে থাকে। গর্ভধারণ প্রক্রিয়ায় শুক্রাণুর গুণমান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুক্রাণুর গুণমান, শক্তি এবং গণনা বাড়াতে, পুরুষদের ইতিবাচক জীবনধারার পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়ন করতে হবে যা সফল গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায়।

যে ৬টি কারণে পুরুষরা সন্তানের জন্ম দিতে পারে না সেগুলি হল-

১. অত্যাধিক ধূমপান-

বর্তমান চাহিদা ও ব্যস্ত জীবনধারার পরিপ্রেক্ষিতে বেশিরভাগ মানুষ ধূমপান ও অন্যান্য নেশার দিকে ঝুঁকছেন যা শুক্রাণুর সমস্যা বাড়িয়ে দেবে। যদিও নেশার কারণে সাময়িক সুখ পাওয়া যায় কিন্তু এটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অত্যধিক ধূমপান উল্লেখযোগ্যভাবে শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা এবং গুণমান হ্রাস করে, যা বন্ধ্যাত্বের দিকে পরিচালিত করে।

২. চরম মদ্যপান

যদিও অ্যালকোহল সেবন একটি আধুনিক প্রবণতা হয়ে উঠেছে, অত্যধিক গ্রহণ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে এবং শুক্রাণু উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে, যা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবং বন্ধ্যাত্বের দিকে পরিচালিত করে। প্রবল মদ্যপানের কারণে শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যায়।

৩. খারাপ ডায়েট

খাবারের কারণেও শুক্রাণুর সমস্যা ও গুণগতমান হ্রাস পায়। খাবারের কারণে উর্বরতা প্রভাবিত হয়। পাশাপাশি শারীরিক কার্যকলাপের অভাব ও অত্যাধিক চর্বির জন্যও টেস্টোস্টেরন সহ হরমোনের মাত্রা ব্যাহত করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ ফল, শাকসবজি এবং বাদামকে অগ্রাধিকার দেয় এমন একটি খাদ্য গ্রহণ করা পুরুষদের জন্য তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অপরিহার্য।

৪. চাপ

বর্তমানে প্রত্যেকটি মানুষই অত্যাধিক চাপের মধ্যে রয়েছে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা। স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নষ্ট করে দেয়। শুক্রাণুর উৎপাদন ও কার্যকরিতাকে প্রভাবিত করে। পুরুষদের অবশ্যই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশল অনুশীল প্রয়োজনীয়।

৫. তাপ

প্রবল গরম অন্ডকোষের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। তা শুক্রাণুর উৎপাদন কমিয়ে দেয়। তাই পুরুষদের অধিক সময় বাথটবে থাকা বা অত্যাধিক গরম খাবার খাওয়া ঠিক নয়। পুরুষদের অত্যধিক তাপ এক্সপোজার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি।

৬. যৌন সংক্রমণ

পুরুষ প্রজনন সিস্টেমের মধ্যে সংক্রমণ, বিশেষ করে যৌন সংক্রামিত সংক্রমণ যেমন ক্ল্যামাইডিয়া এবং গনোরিয়া, প্রজনন অঙ্গগুলিতে প্রদাহ এবং দাগ সৃষ্টি করতে পারে। যৌনাঙ্গে চিকিৎসা না করা প্রদাহ শুক্রাণু তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পুরুষদের বান্ধ্যাত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এগুলি মেনে চলতে হবে-

যে কোনও সমস্যা থাকলে চিকিৎসা করালে অনেক সময়ই তা ভাল হয়ে যায়। পুরুষদের নিয়ম মেনে জীবন কাটাতে হবে। সুস্থ দাম্পত্য জীবনেও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ সন্তান ধারনের জন্য।

আরও পড়ুনঃ

Health Tips: রোজ পেঁপে খেলেই চুল আর ত্বক হবে সুন্দর, রইল পেঁপের ৭টি উপকারিতা

Horoscope: এই ৫ রাশির জীবনে আর্থিক সুখ নেই, প্রচুর রোজগার করলেও জলের মত টাকা খরচ করে

Diwali: দীপাবলির রাতে কীভাবে প্রদীপ জ্বাললে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন, দেখুন ছবিতে