Cancer Care: জটিল অস্ত্রোপচার নয়, কেমোথেরাপি বা রেডিয়োথেরাপির যন্ত্রণাও নয়, নাকে ড্রপ দিয়ে মস্তিষ্কের ক্যান্সার সারানোর চিকিৎসা নিয়ে আশার আলো দেখছেন গবেষকরা।
Brain Cancer: মস্তিষ্কের ক্যান্সারের সবচেয়ে বিপজ্জনক রূপ হল ‘গ্লিয়োব্লাস্টোমা’। এই ক্যান্সার বাসা বাঁধলে রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। শুধু রোগের তীব্রতা কমিয়ে রোগীর বেঁচে থাকার সময়কালটা আর একটু বাড়ানোর চেষ্টা করা হয় মাত্র। মস্তিষ্কের ক্যান্সারের মতো মারণ,ব্যাধি নির্মূল করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে গবেষণা চলছে দীর্ঘ সময় ধরেই। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা দাবি করেছেন, মস্তিষ্কে গজিয়ে ওঠা টিউমারও নির্মূল করা যাবে, যদি ঠিক জায়গায় সময়মতো ওষুধ পৌঁছে দেওয়া যায়। আর তা সম্ভব হতে পারে নাকের ড্রপে। নাক দিয়ে ওষুধ টানলে তা সরাসরি মস্তিষ্কের স্নায়ুতে পৌঁছে গিয়ে কাজ শুরু করে দেবে। এমনই একটি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা প্রায় সাফল্যের মুখে। নাকে ড্রপ দিয়ে মস্তিষ্কের ক্যান্সার নিরাময়ের ধারণাটি একটি নতুন গবেষণার। যেখানে আশা জাগানো ফলাফল পাওয়া গেছে। এটি প্রচলিত অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি বা রেডিয়োথেরাপির মতো জটিল এবং যন্ত্রণাদায়ক চিকিৎসা পদ্ধতিকে এড়িয়ে যাওয়ার একটি নতুন উপায় হতে পারে। তবে, এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য-
- কার্যকারিতা: এই ড্রপটি মস্তিষ্কের ক্যান্সার, বিশেষ করে গ্লিওব্লাস্টোমা-এর মতো মারাত্মক ধরনের টিউমারকে লক্ষ্য করে কাজ করতে পারে।
- পদ্ধতি: এর মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কের কোষে ওষুধ সরবরাহ করা সম্ভব হয়, যা অন্যান্য পদ্ধতিতে অনেক সময় সম্ভব হয় না।
- সুবিধা: প্রচলিত চিকিৎসার তুলনায় এটি কম যন্ত্রণাদায়ক এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হতে পারে।
- বর্তমান অবস্থা: এই গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা প্রমাণ করার জন্য আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।
- গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য: এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিটি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তাই, যে কোনও চিকিৎসার জন্য একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি
গ্লিয়োব্লাস্টোমা’ হলে সে রোগী বেশিদিন বাঁচতে পারেন না। আর এমন ক্যান্সারের লক্ষণও ধরা পড়ে না আগে থেকে। মস্তিষ্কের ভিতরের সুস্থ কোষগুলি নষ্ট হতে থাকে, প্রভাব পড়ে স্নায়ুতে। ফলে রোগীর স্মৃতিনাশের লক্ষণও দেখা দেয়। ঝাপসা দৃষ্টি, ভুলে যাওয়ার সমস্যাকে ডিমেনশিয়ার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন অনেকে। ফলে ক্যান্সার যখন ধরা পড়ে, তখন আর রোগীকে বাঁচানোর তেমন উপায় থাকে না। মস্তিষ্কের ক্যানসারের চিকিৎসায় ইমিউনোথেরাপিতে আশার আলো আগেই দেখেছেন গবেষকেরা। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির চিকিৎসকেরা যে গবেষণাটি করছেন, তা ‘ন্যানোমেডিসিন’ নিয়ে। যেখানে এমন ওষুধ তৈরি করা হয়, যার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম উপাদানগুলি নির্ভুল লক্ষ্যে সহজেই পৌঁছে দেওয়া যায়। বিশেষ করে ক্যান্সারের চিকিৎসায় ‘ন্যানোমেডিসিন’ নিয়ে কাজ হচ্ছে বেশি। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ক্যান্সার কোষে ওষুধ পৌঁছোনোর জন্য যে পন্থাটিকে কাজে লাগাচ্ছেন, তা হল নাকের ড্রপ। ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে তাঁরা দেখেছেন, নাক দিয়ে ওষুধ টানলে তা চারপাশের সুস্থ কোষগুলিকে বাঁচিয়ে সটান পৌঁছে যাচ্ছে ক্যান্সার কোষের জায়গায় এবং সেই কোষগুলির বিভাজন থামিয়ে দিতে পারছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


