Breast Cancer: স্তন ক্যানসার নির্ণয়ে এক নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের পথে বিজ্ঞানীরা। ক্যানসার চিহ্নিত করার যে সব পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং পদ্ধতি আছে, সেগুলির চেয়ে এটি একেবারেই আলাদা। এই পদ্ধতিটি যে কেবল টিউমার চিহ্নিত করবে তা নয়, ধাওয়া করে তার গতিবিধি জানবে।

Breast Cancer Treatment: চৌম্বকীয় তরল ব্যবহার করে স্তন ক্যানসারের বিস্তার শনাক্ত করার একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে, যা "ম্যাগট্রেস" (Magtrace) নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে, চৌম্বকীয় ন্যানো পার্টিকেলযুক্ত এই তরলটি রোগীর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। যা স্তনের লিম্ফ নোডগুলোতে ক্যান্সার ছড়িয়েছে কিনা তা নির্ধারণে সাহায্য করে। একটি বিশেষ চৌম্বকীয় সেন্সর এই ন্যানো পার্টিকেলগুলি সনাক্ত করতে পারে, যা প্রচলিত পদ্ধতিগুলির চেয়ে আরও সংবেদনশীল হতে পারে।

কীভাবে কাজ করে?

  • ইঞ্জেকশন: চিকিৎসকরা এই চৌম্বকীয় তরলটি রোগীর স্তনের টিস্যুতে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করান।
  • শনাক্তকরণ: এই ন্যানো পার্টিকেলগুলি লিম্ফ নোডগুলিতে প্রবেশ করে, যা স্তন ক্যান্সারের বিস্তার শনাক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
  • ডায়মন্ড সেন্সর: একটি বিশেষ ধরনের ডায়মন্ড সেন্সর এই ন্যানো পার্টিকেলগুলিকে শনাক্ত করতে পারে, যা ক্যান্সার কোষের উপস্থিতি প্রমাণ করে। এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং খুবই কম পরিমাণে ন্যানো পার্টিকেলও সনাক্ত করতে পারে।
  • অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহার: এই পদ্ধতিটি অস্ত্রোপচারের সময় বা তার আগে ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে সার্জেনরা ক্যান্সার কোষের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।
  • সংবেদনশীলতা: প্রচলিত পদ্ধতিগুলির তুলনায় এটি অনেক বেশি সংবেদনশীল, যা প্রাথমিক পর্যায়েও ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে।
  • সুনির্দিষ্টতা: এটি ক্যান্সার কোষের সুনির্দিষ্ট অবস্থান নির্ণয়ে সাহায্য করে, যা অস্ত্রোপচারের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে।
  • কম ব্যথাহীন: এই চৌম্বকীয় বীজ বা তরল অত্যন্ত ছোট হওয়ায় এটি অনুভব করা যায় না এবং এটি সম্পূর্ণ ব্যথাহীন হতে পারে।

এখনও গবেষণা চলছে

এই পদ্ধতিটি এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে, তবে এর সম্ভাবনাময় ফলাফল স্তন ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসায় এক নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। যদিও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং চিকিৎসার জন্য এখনও প্রচলিত ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা এবং একজন ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সেলেন্স (এনআইসিই)-এর গবেষকেরা ম্যাগট্রেস নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ক্যানসার কোষ শরীরের ভিতরে কোন কোন জায়গায় ছড়াচ্ছে, তা সঠিক ভাবে জানতে তেজস্ক্রিয় বিকিরণেরও সাহায্য নেওয়া হয়। এতে সুস্থ কোষগুলির ক্ষতি হয়। তবে ম্যাগট্রেসে তেজস্ক্রিয়তা নেই, পুরোপুরি চৌম্বকীয় শক্তিতে সেটি কাজ করবে। তাই এটি শরীরে ঢুকলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। স্তন ক্যানসারের অতি বিরল ধরন লোবিউলার কার্সিনোমা ধরতে এই পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি কাজে আসবে বলেই জানিয়েছেন গবেষকেরা। ইদানীংকালে মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের ক্যানসারের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।