বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি মানুষ অ্যালজাইমার্স রোগে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভ্রান্তিতে ভোগেন তারপর ছোটো ছোটো বিষয় - তথ্য ভুলে যেতে শুরু করেন। ক্রমে এটি বাড়তে বাড়তে নিজের নাম ঠিকানাও ভুলে যাওয়ার পর্যায়ে এসে দাঁড়ায়।

অ্যালজাইমারের প্রতিকার নেই বলেই জানতাম। তবে ওয়াশিংটন স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দাবি, তাঁদের ওষুধ অ্যালজাইমারের বিরুদ্ধে কাজ দিয়েছে। বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি মানুষ অ্যালজাইমার্স রোগে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভ্রান্তিতে ভোগেন তারপর ছোটো ছোটো বিষয় - তথ্য ভুলে যেতে শুরু করেন। ক্রমে এটি বাড়তে বাড়তে নিজের নাম ঠিকানাও ভুলে যাওয়ার পর্যায়ে এসে দাঁড়ায়। অ্যালজাইমারের প্রতিকার নিয়ে বহুদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল বিজ্ঞানীরা তবে সম্প্রতি আশা মিলেছে বিজ্ঞানী মহলে।

ট্রানস্লেশননাল রিসার্চ অ্যান্ড ক্লিনিকাল ইন্টারভেনশন’ নামে একটি মেডিক্যাল জার্নালে অ্যালজাইমারের গবেষণা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে গবেষকেরা জানিয়েছেন, ‘লেকানেমাব’ ও ‘ডোনানেমাব’ নামে দু'টি ওষুধ অ্যালজাইমারের রোগের ওপর কাজ করেছে। ওষুধ দুটি রোগীদের শরীরে প্রয়োগ করে রোগের তীব্রতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। রোগীদের ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে, বিভ্রান্তিভাবও কমেছে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় অ্যালজাইমার্সের রোগীদের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, রোগীদের মস্তিষ্কে ‘বিটা-অ্যামাইলয়েড’ নামে একরকম প্রোটিন জমা হয়, যা এই রোগের জন্য দায়ী বেশিরভাগটাই। মস্তিষ্কের কোষগুলির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় এই প্রোটিন। তাই প্রথম পর্যায়েই এই প্রোটিনকে ধ্বংস করা গেলে এই রোগের তীব্রতাও কমবে। ‘লেকানেমাব’ ও ‘ডোনানেমাব’ এই ওষুধ দুটি সে কাজই করবে। এই দুই ওষুধ আসলে মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, যা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয় রোগীদের শরীরে।

লেকানেমাব’ ও ‘ডোনানেমা এদের প্রয়োগে অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (FDA)। জাপানের একটি ওষুধ নির্মাতা সংস্থার হাত ধরে ‘লেকানেমাব’ এবং আমেরিকার ফার্মাকিউটিক্যাল কোম্পানি এলি লিলি মাধ্যমে ‘ডোনানেমাব’ ওষুধটি ভারতের বাজারে আসতে পারে বলে সূত্রের খবর। এমনকি দেশে চলতি বছরেই দেখা মিলতে পারে এই দুই ওষুধর।