Stress fracture: সারাংশ বয়স ও হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে মহিলাদের মধ্যে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই ব্যথা হোক ছোট বা বড় - হাড়ের যত্নে সচেতনতা থাকা জরুরি
Stress fracture: হঠাৎ করেই হাঁটার সময় পায়ের ব্যথা, হালকা ফোলা বা চলাফেরায় অস্বস্তি অনুভব করেন। একে প্রাথমিকভাবে অনেকেই পাত্তা দেন না, তবে এর থেকে হতে পারে একটি গুরুতর অস্থি সমস্যা - ‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচার’। চিকিৎসকেদের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই বেশি ভোগেন এই সমস্যায়। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রেও এই একই কথা উল্লেখ করা হয়। ২৫–৪৫ বছর বয়সী যারা খেলাধূলা বেশি করেন, জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দৌড়ন, জগিং বা ওয়েট ট্রেনিং করেন, অথবা নাচ, অ্যারোবিক্স করেন। আবার ৪৫ ঊর্ধ্বে, বিশেষত মেনোপজের পরে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে, তখন হালকা চাপেই হাড়ে ফাটল দেখা দিতে পারে, তাঁদের এই ফ্র্যাকচার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচার’ কী?
শরীরের কোনও একটি অংশের হাড় ও পেশিতে ক্রমাগত চাপ পড়ার কারণে যখন ওই অংশের পেশি দুর্বল হয় ও হাড়ে চিড় ধরে, তখন তাকে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার বলে। গোড়ালি মচকে যাওয়া বা হাত ভেঙে যাওয়ার মতো কোনো বোন ফ্র্যাকচার নয়। বরং দীর্ঘ সময় ধরে হাড়ে চাপ পড়তে পড়তে বা আঘাত লেগে হাড় দুর্বল হয়ে গিয়ে ফ্র্যাকচার হয়। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পায়ের পাতার হাড়, পাঁজর, হাঁটু এবং কোমরের হাড়ে।
কেন বেশি আক্রান্ত হন মহিলারা?
১. হরমোনের প্রভাব: ইস্ট্রোজেন হরমোন হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে। নারীদের মেনোপজের পর এই হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়, ফলে হাড় দুর্বল হয়। এছাড়াও ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে, ফলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে।
২. অস্টিওপোরোসিসের প্রবণতা: মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি অস্টিওপোরোসিসে ভোগেন। হাড়ের ভিতরে টিউমার বা কোনও সংক্রমণের কারণে হাড়ের শক্তি কমে গিয়েও এমন হতে পারে।
৩. খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টির ঘাটতি: শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের ঘাটতির কারণেও ‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচার’ হতে পারে। যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে স্টেরয়েড খান, তাঁদেরও হতে পারে। তাই চল্লিশের পর থেকে খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া জরুরি। যাঁরা খেলাধূলার সঙ্গে জড়িত, নাচ, সাঁতারের মতো শারীরিক কসরতও করেন, তাঁদের ডায়েটে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখতেই হবে।
৪. অত্যধিক ব্যায়াম: বিশেষত অ্যাথলিট বা ফিটনেস সচেতন মহিলারা অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে হাড়ে চাপ বাড়ে, যা স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি তৈরি করে।
কী করণীয়?
* পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন নিয়মিত। * ব্যায়ামের আগে ও পরে স্ট্রেচিং করুন। হঠাৎ করে ব্যায়ামের মাত্রা না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে বাড়ান। * সঠিক জুতো পরুন, বিশেষ করে দৌড় বা হাঁটার সময়। * হঠাৎ কোন ধরনের ব্যথা অনুভূত হলে, ব্যথা উপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। * অস্টিওপোরোসিস বা মেনোপজ এর পরবর্তী পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকাই শ্রেয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


