শীতকালেও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে চান? নিয়মিত এই পানীয়গুলি সেবন করতে পারেন
- FB
- TW
- Linkdin
শীতকালে ত্বক উজ্জ্বল রাখার জন্য কিছু বিশেষ পানীয় পান করা যেতে পারে
সাধারণত শীতকালে ঠান্ডা বাতাসের কারণে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। এর ফলে ত্বক শুষ্ক এবং নির্জীব দেখায়। কম জল পান করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। শুষ্ক ত্বকে চুলকানি, টানটান ভাব এবং ত্বক ফেটে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই এটি প্রতিরোধ করতে গরম জলে স্নান করা, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা এবং পর্যাপ্ত জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও কিছু বিশেষ পানীয় পান করলে ত্বক সুস্থ এবং উজ্জ্বল থাকে। এই পরিস্থিতিতে, শীতকালে ত্বককে উজ্জ্বল রাখার জন্য কিছু বিশেষ পানীয় সম্পর্কে এখানে জানুন।
শীতকালে কোন বিশেষ পানীয় সেবন করলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখা সম্ভব হয়?
লেবু এবং মধু:
শীতকালে শুষ্ক ত্বককে উজ্জ্বল করতে লেবু এবং মধু মিশ্রিত জল পান করুন। লেবু ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস। তাই গরম পানিতে সামান্য লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে পান করলে ত্বক হাইড্রেটেড হয় এবং ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে।
অ্যালোভেরা জুস:
অ্যালোভেরা জুস শীতকাল বা গ্রীষ্মকাল, যে কোনও ঋতুতে পান করা যেতে পারে। কারণ এটি ত্বকের রঙ উন্নত করার পাশাপাশি কালো দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং শরীরের অনেক সমস্যাও দূর হয়।
নিয়মিত গ্রিন টি, নারকেলের জল পান করলেও শীতকালে ত্বক উজ্জ্বল রাখা যায়
গ্রিন টি:
শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে দুধ চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি পান করার অভ্যাস করুন। এটি কেবল ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, শরীরের জন্যও অনেক উপকারী। কারণ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ত্বকের উন্নতির পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
নারকেলের জল:
সাধারণত শীতকালে নারকেলের জল পান করা ভালো নয় বলে মনে করা হয়, তবে নারকেলের জল ত্বকের উন্নতিতে সাহায্য করে। তাই এটি আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার পাশাপাশি আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিও যোগায়।
হলুদ মেশানো দুধ সব ঋতুতেই ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে, এর আরও অনেক উপকার আছে
হলুদ মেশানো দুধ:
হলুদে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায় এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। তাই দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করলে ত্বকের বলিরেখা কমে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়।
বিটরুটের রস:
বিটরুটের রসে আয়রন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর, যা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।