Child Health: শিশুদের জন্য যদি রোজ দুধে এই জিনিসগুলি মেশান তাহলে তাদের শরীরে পুষ্টির গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে দুধের উপকারিতা।
সন্তান বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি পুষ্টির দরকার হয়। আলাদা করে বাদাম, ফল খাওয়ানো যদি ঝক্কি মনে হয়, মিশিয়ে দিন দুধেই। এই জিনিস গুলো খাওয়ালে আপনি শিশুর শরীরে পুষ্টির যোগান দিতে পারবেন।
খেজুর, কাঠবাদাম: মিক্সারে অল্প একটু দুধ দিয়ে খেজুর-ভেজানো খোসা ছাড়ানো কাঠবাদাম ঘুরিয়ে নিন।সন্তানের বয়স অনুযায়ী পরিমাণমতো দিতে হবে। ৩-৪টি বাদাম আর ২টি খেজুরই যথেষ্ট। এবার ওই মিশ্রণের সঙ্গে ফুটিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করা দুধে মিশিয়ে নিন। কৃত্রিম চিনি যোগ না করে খেজুর দিলে, প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব থাকবে। যা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
এগুলির দুধের উপকারিতা আরও বাড়াবে
কলা-কাজুবাদাম: কলা এবং অল্প একটু দুধ মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন।এই মিশ্রণে আরও একটু দুধ মিশিয়ে গুলে নিন। যোগ করুন কুচনো কাজুবাদাম। দিয়ে দিন এক চা-চামচ মধুও।ঘরের তাপমাত্রায় থাকা দুধ দিয়েই বানিয়ে নিন এমন শেক।
জাফরান: জাফরান স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। দুধে মিশিয়ে নিন অল্প একটু জাফরান।এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং প্রদাহনাশক উপাদান।এতে রয়েছে কিছুটা প্রোটিন এবং খনিজ।শরীর চনমনে রাখতে, স্নায়ু সতেজ রাখতে সাহায্য করে জাফরানে থাকা উপাদান।
ডুমুর: ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের খনি বলে মনে করা হয় ডুমুরকে। হজমে সাহায্য় করে এবং শক্তি বাড়ায় এই ড্রাই ফ্রুট। এর প্রাকৃতিক সুইটনেসের জন্য দুধ খেতেও ইচ্ছে করে বাচ্চাদের।
আমন্ড: নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর আমন্ড। এতে ভরে ভরে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ই। এ সবের গুণে মস্তিষ্কের বিকাশে, স্মৃতির ধার বাড়াতে ও ইমিউনিটি চাঙ্গা করতে সাহায্য করে আমন্ড। তাই দুধের সঙ্গে এই ড্রাই ফ্রুট মিশিয়ে সন্তানকে খাওয়ালেও কাজ হবে ভালো। এর জন্য সারারাত দুধের মধ্যে কয়েকটি আমন্ড ভিজতে দিন। সকালে তা
গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ও অন্যান্য ভিটামিন উপস্থিত। দুধের সঙ্গে এই সবজিও যে খাওয়া যেতে পারে তা অনেকেই জানেন না। ব্রেকফাস্টে দুধের মধ্যে এই সবজি গ্রেট করে দিতে পারেন সন্তানকে। তাতে তার দৃষ্টিশক্তি হবে তীক্ষ্ণ এবং সেই সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে।

