Health Tips: কালী পূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাক খাওয়ার পৌরাণিক রীতি রয়েছে।এই রীতি অনুযায়ী ১৪ শাক যেমন ১৪ পুরুষের আত্মার শান্তি কামনা করে তেমনি অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে।
Health Tips: ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাক খাওয়ার শাস্ত্রমতে প্রধান উপকার হলো এটি অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে এবং পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি ও মুক্তি নিশ্চিত করে।
কালীপুজোর ঠিক আগে, অর্থাৎ, ভুত চতুর্দশীর দিন চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি বাঙালির বহু পুরনো৷ নিয়ম মেনে, তিথি অনুযায়ী, বাড়ির মা-ঠাকুমারা এখনও চোদ্দ শাক রান্না করে থাকেন। আর দুপুরের ভাতের প্রথম কয়েক গরসে সেই শাক খাওয়া অবশ্য পালনীয় কর্তব্য বাড়ির সমস্ত সদস্যের। এই চোদ্দ শাক খাওয়ার পিছনে একদিকে যেন একাধিক পৌরাণিক বা ধর্মীয় কারণ লুকিয়ে রয়েছে, তেমনই এই ১৪ শাকের স্বাস্থ্যগুণও কিন্তু মারাত্মক। বিশেষজ্ঞেরা বলে থাকেন, প্রকৃতপক্ষে, নিয়মরীতির আড়ালে পুষ্টিগুণের অভ্যাসই আমাদের মধ্যে সঞ্চারিত করে দিয়েছেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা।
এই রীতি অনুসারে, ১৪ শাক খাওয়ার মাধ্যমে শীতের শুরুতে স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করাও সম্ভব।
এই ১৪ শাকের মধ্যে রয়েছে, সর্ষে, পালং, লাল নটে, গিমা, পুঁই, কলমি, পাট, মূলো, বেতো, হিঞ্চে, নটে, শুষনি, মেথি ও লাল শাক। ১৪ রকম শাক কিন্তু এখনও বাজারে পাওয়া যায়। একসঙ্গে শাক কেটেই বিক্রি করা হয়। সুস্থ থাকতে শাকের কোনও বিকল্প নেই। সিজন চেঞ্জের সময় যেহেতু রোগ জ্বালা লেগেই থাকে তাই এদিন শাকখাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, সেই সঙ্গে রোগপ্রতিরোধও করে।
১৪ শাক খাওয়ার উপকারিতা:-
* আত্মার শান্তি: বিশ্বাস করা হয় যে ভূত চতুর্দশীতে স্বর্গ ও নরকের দরজা খুলে যায় এবং আত্মারা মর্ত্যে নেমে আসেন। তাই ১৪ শাক খেয়ে পূর্বপুরুষদের আত্মার মুক্তি ও শান্তি নিশ্চিত করা হয়।
* অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা: এই রীতিটি অশুভ শক্তি বা ভূত-প্রেতকে দূরে রাখতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে মা কালী তাঁর চামুণ্ডা রূপ ধারণ করে ১৪ জন ভূতকে সঙ্গে নিয়ে ভক্তের বাড়ি থেকে সমস্ত অশুভ শক্তি ও ভূত-প্রেতাত্মাকে বিতাড়িত করতে মর্ত্যে আসেন। ১৪ শাক খেলে বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি বিদায় হয় এবং গৃহস্থের মঙ্গল হয় বলে মনে করা হয়।
* মন্দতা দূর করা: এটি অলসতা ও মন্দতা দূর করে জীবনে আলো নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়, যা মহাকালী বা শক্তি উপাসনার একটি অংশ।
* এছাড়া এই শাকের পুষ্টিগত উপকারিতাও অনেক,যেমন :
* শীতের শুরুতে স্বাস্থ্য: ১৪ রকমের শাক একসঙ্গে খাওয়া শীতের শুরুতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* পুষ্টির সরবরাহ: বিভিন্ন ধরনের শাক মিশিয়ে খাওয়ার ফলে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পায়। যেমন, ওল শাকের মতো শাকের উপকারিতা রয়েছে
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


