Cause of Sleeplessness: পাতলা ঘুম বা লাইট স্লিপ-এর সমস্যা আজকাল ক্রমেই অনেকের মধ্যে বাড়ছে। ঘুম ঠিকমতো না হলে ক্লান্তি, বিরক্তি, মনোসংযোগের অভাব থেকে শুরু করে হরমোনের ভারসাম্য পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। তাই ঘুমের গুণমান বজায় রাখা জরুরি।
Cause of Sleeplessness: রাতে ঘুম আসে না? সারারাত এপাশ ওপাশ করেন? রাতভর এপাশ-ওপাশ করার কারণ হলো মানসিক চাপ, উদ্বেগ, শারীরিক অসুস্থতা (যেমন: অ্যাসিডিটি, হাইপারথাইরয়েডিজম), ক্যাফেইন বা অ্যালকোহলের মতো অভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কিছু সমস্যা (যেমন: অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী, শোবার আগে মোবাইল ব্যবহার)।
এর কিছু ঘরোয়া উপায় হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠা, শোবার আগে শান্ত কিছু করা (যেমন: বই পড়া বা উষ্ণ স্নান করা), ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা এবং শোবার ঘর আরামদায়ক রাখা।
* রাতে ঘুম না আসার কারণসমূহ:
* মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: অবসাদ, ক্লান্তি বা দুশ্চিন্তা অনেক সময় রাতে বারবার ঘুম ভাঙার কারণ হয়।
* শারীরিক অসুস্থতা: অ্যাসিডিটি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, হাইপারথাইরয়েডিজম এবং মেনোপজের মতো বিভিন্ন শারীরিক অবস্থা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
* অভ্যাস: ক্যাফেইন, নিকোটিন এবং অ্যালকোহল সেবন ঘুমের মান খারাপ করে।
* জীবনযাত্রার কারণ: অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী, শোবার আগে মোবাইল বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের ব্যবহার এবং শোবার ঘরের পরিবেশ আরামদায়ক না হওয়াও ঘুমের ব্যাঘাতের জন্য দায়ী হতে পারে।
* ঘুম না আসার ঘরোয়া কিছু উপায়:
* নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন।
* একটি আরামদায়ক রুটিন: ঘুমের আগে হালকা কিছু করুন, যেমন উষ্ণ জলে স্নান করা বা বই পড়া।
* উদ্দীপক দ্রব্য পরিহার: সন্ধ্যায় বা রাতে চা, কফি বা অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
* শোবার ঘর আরামদায়ক করুন: আপনার শোবার ঘর অন্ধকার, শান্ত ও শীতল রাখুন।
* ঘুমানোর আগে মোবাইল বা অন্য ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
* হালকা ব্যায়াম: দিনের বেলায় হালকা হাঁটাচলা করলে রাতে ভালো ঘুম হতে পারে।
* মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: মানসিক চাপ কমাতে যোগা বা মেডিটেশন করতে পারেন। প্রয়োজনে একজন পেশাদারের সাহায্য নিতে পারেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


