হৃদপিণ্ডে ক্যান্সার, শুনেছেন কখনো! পৃথিবীজুড়ে ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরন নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা হলেও, হৃদযন্ত্রের ক্যান্সার নিয়ে আলোচনা কম এবং এটি শারীরিকভাবে অত্যন্ত বিরল।
ক্যান্সার একটি ভয়াবহ মারণ রোগ, যা রোগী এবং তার পরিবারকে সর্বশান্ত করে দিয়ে যায়। শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গ এবং টিস্যুতে ক্যান্সার হতে পারে, কিন্তু হৃদপিণ্ডে ক্যান্সারের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। প্রতি ১০,০০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জনের হৃদপিণ্ডে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পৃথিবীজুড়ে ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরন নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা হলেও, হৃদযন্ত্রের ক্যান্সার নিয়ে আলোচনা কম এবং এটি শারীরিকভাবে অত্যন্ত বিরল।
তবে, সম্প্রতি "লাইভ সায়েন্স"-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এই বিরল ঘটনাটির পিছনের কারণগুলো ব্যাখ্যা করেছে। মত ব্যক্ত কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুলি ফিলিপ্পি।
হার্টে ক্যান্সার কেন কম হয়?
মানবশরীরে প্রতি মুহূর্তেই কোষ বিভাজন চলতে থাকে। পুরনো কোষ বা ক্ষতিগ্রস্ত কোষের জায়গায় নতুন কোষের জন্ম হয়। শরীরে যেকোনো জায়গাতেই অনিয়ন্ত্রিত ও ভীষণ ভাবে কোষ বিভাজন হলে সেখানেই ক্যান্সার ধরা পড়ে। তবে সব কোষ একইরকম দ্রুততায় বিভাজিত হয় না। যেমন মায়ের শরীরে ভ্রূণ বেড়ে ওঠার সময় দ্রুত হারে হয় কোষ বিভাজন, হাড়ের কোষের বিভাজনের হারও বেশি। আবার, ত্বক, নখ এবং চুলের পুরোনো কোষগুলিও খুব তাড়াতাড়ি বিভাজিত হয়। কিন্তু হৃদপিন্ডের কোষ বিভাজন হয় আলাদাভাবে, ধীরে ধীরে।
প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদপিণ্ডের কোষগুলি জন্মের পরে খুব কম বারই বিভক্ত হয়। কম বয়সে যদিও বা হার্টের কোষ বিভাজন হয়, বছর ২০ পেরিয়ে গেলে কোষ বিভাজন অত্যন্ত হ্রাস পায়। দেখা যায়, একজন মানুষ হৃদপিণ্ডের যেসব কোষ নিয়ে জন্ম নেয়, তার অর্ধেক তার শরীরে সারা জীবন থেকে নিরন্তর কাজ করে চলে। ঠিক সেই জন্যই হার্টে ক্যান্সার হওয়ার হার কম।
এছাড়াও, হার্ট শারীরিকভাবে এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যেখানে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী প্রভাব ও কারণগুলো কম দেখা যায়। ফলে ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাবনাও কম থাকে।
তাহলে কীভাবে হয় হৃদপিন্ডে ক্যান্সার?
হৃদপিণ্ডে ক্যান্সার খুব বিরল হলেও, ক্যান্সার সাধারণত শরীরের অন্য অংশ থেকে আসে। এই প্রক্রিয়াটিকে মেটাস্ট্যাসিস বলা হয়।
