তামা এবং হলুদ এই দুটির বিষয়েই আমরা প্রত্যেকেই পরিচিত। কিন্তু এই দুটি জিনিসই আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কতটা উপকারী তা কি আপনি জানেন!
বহু রোগের সমাধান তামার পাত্রে সংরক্ষিত জলপানে।এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞান উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছতে পেরেছে ঠিকই । কিন্তু প্রাচীন এমন কিছু পদ্ধতিকে বা বিষয় আছে যা আজও মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে যায়। সেই বিষয় গুলিতে বলতে হলে বিজ্ঞান একটু পিছিয়েই। আসলে এটা আমরা কেউই অস্বীকার করতে পারিনা যে প্রাচীন পদ্ধতিই হল মূল বিষয়। যাকে আরও মডিফাই করে বিজ্ঞানিরা আরও কিছু ধাপে এগিয়েছে। তামা এবং হলুদ এই দুটির বিষয়েই আমরা প্রত্যেকেই পরিচিত। কিন্তু এই দুটি জিনিসই আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কতটা উপকারী তা কি আপনি জানেন! বর্তমান এক রিপোর্ট অনুযায়ী তামার পাত্রে রাখা হলুদ জল পান করা নাকি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভীষণ উপকারী। এটি একটি প্রাচীন পদ্ধতি। এই প্রাচীন পদ্ধতির উপায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো সম্ভব। তামার পাত্রে রাখা হলুদ জল পান করে নাকি প্রদাহর মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তেমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানিরা। তামার পাত্রে রান্না করা খাবারই হোক বা তাতে সংরক্ষিত জল, উভয়েরই অনেক উপকারিতা রয়েছে। যদিও এটি একটি প্রাচীন পদ্ধতি। যা মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি ব্যবহার করে আসছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তামার পাত্রে সংরক্ষিত জল শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে এবং হজম শক্তি মজবুত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও তামার পাত্রে সংরক্ষিত জল হৃদযন্ত্র, কিডনি এবং চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তরুণ রাখতে এটি অ্যান্তি- এজিং প্রভাবও ফেলে। তাহলে এবার জানা যাক তামার পাত্রে সংরক্ষিত জল পান করার স্বাস্থ্য উপকারিতা কী কী।
তামার পাত্রে হলুদের জল পান করার উপকারিতা :
• হজমের উন্নতি ঘটায়। তামা হজম এনজাইমের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে এবং গ্যাস ও ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও দূর করে। তামার পাত্রে সংরক্ষিত জল পান করলে হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
• ইমিউনিটি মজবুত হয়। তামা এমনই একটা খনিজ পদার্থ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তামার অ্যান্তি- ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্তিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্তিভাইরাল বৈশিষ্ট ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারে।
• এটি চর্মের জন্যও যথেষ্ট উপকারী। তামার পাত্রে রাখা জল পান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এমনকি ত্বকের বলিরেখাও কমে যায়। এটি ফ্রি র্যা ডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এবং ত্বক সুস্থ সুন্দর থাকে।
• সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য তামার পাত্রে জল পান খুবই উপকারী। তামার অ্যান্তিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া তামার পাত্রে রাখা জল পান করলে জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় ।
আমরা কি সারাদিন তামার জল পান করতে পারি ? প্রথমেই না। পারিনা। তামার বোতলে সংরক্ষিত জল পান করা অবশ্যই উপকারী, কিন্তু সারাদিন ধরে নয়। কারণ, এটি শরীরে অতিরিক্ত তামার মাত্রা বাড়াতে পারে, যা শরীরে ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও, প্রতিদিন এই বোতলে জল রেখে দিলে মরিচা ধরতে পারে, যা সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
তামার পাত্রে জল পান করার সঠিক উপায় : তামার পাত্রটি পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। একই তামার পাত্রে দীর্ঘ সময় জল সংরক্ষণ করা একদমই উচিত নয়। তামার পাত্রের জল ১৫-২০ দিন নিয়মিত পান করার পর দুই-তিন দিনের বিরতি নেওয়া উচিত। সকালে খালি পেটে এই পাত্রের জল পান করা স্বাস্থ্যকর।

