সংক্ষিপ্ত
- ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে মাছের বাজারে চড়া দাম
- চিংড়ি থেকে ইলিশ, পাবদা, পমফ্রেট সবেতেই দামে আগুন
- ইলিশের দামেও রীতিমত ছ্যাঁকা খাচ্ছেন সকলে
- ক্রেতাদের অবশ্য এর জন্য একেক জনের একেক রকম প্রতিক্রিয়া
ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে মাছের বাজারে চড়া দাম। চিংড়ি থেকে ইলিশ, পাবদা, পমফ্রেট সবেতেই দামে আগুন। কলকাতার সমস্ত বাজারে কম-বেশি এই ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সোমবার সকালে মাণিকতলা বাজারে মাছের দামের যে তালিকা পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে চিংড়ি মাছ ৫৫০-৬৫০ টাকা কিলো, পাবদা ৭০০-৮০০ টাকা কিলো, পমফ্রেট ৬৫০-৮০০ টাকা কিলো। বাঙালির মাছের পাতে ইলিশ একটা বড় ভূমিকা পালন করে। আর বিশেষ করে যদি সেই অনুষ্ঠান হয় ভাইফোঁটার তাহলে তো কথাই নেই। আর সেই ইলিশের দামেও রীতিমত ছ্যাঁকা খাচ্ছেন সকলে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে বেশ ভালোই ইলিশ ধরা পড়ছে বলে খরব। কিন্তু তাতে ইলিশের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। যে চড়া দামে কয়েক মাস আগেও ইলিশ বাঙালিকে কিনতে হচ্ছিল, সেই ছবিটার কোনও বদল ভাইফোঁটার বাজারে। ভালো জাতের ইলিশ পেতে গেলে মোটামুটি প্রতি কিলো ২০০০ টাকার উপরে দাম থাকছে। তবে মোটামুটি মানের ইলিশ ৯০০ থেকে ১২০০ ওজনের নূন্যতম দাম ১৬০০ টাকা।
আরও পড়ুন- এবারের ভাইফোঁটায় 'ইকো-ফ্রেন্ডলি' উপহার, সঙ্গে থাকুক অভিনবত্বের ছোঁয়া
একে ভাইফোঁটা বলে কথা, তার সঙ্গে রয়েছে এক সপ্তাহের মাছের বাজার। কিন্তু মাছ কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত। কারণ, সাধারনত বড় রুই বা কাতলার যা দাম উঠেছে তাতে বাজেট ফেল করে যাওয়ার জোগাড়। এর সঙ্গে রয়েছে ভাইফোঁটার মাছ কেনার চাপ। সেই তালিকায় যেমন থাকছে বাগদা চিংড়ি, তেমনি থাকছে ভেটকি, পাবদা পার্শের দল। ক্রেতাদের অবশ্য এর জন্য একেক জনের একেক রকম প্রতিক্রিয়া। কারও মতে, ভাইফোঁটার বাজারে এমন দামই স্বাভাবিক, এই দরের ক্রেতাদের কাছে মাছের দর রিজনেবল বলেই মনে হচ্ছে। আরেক ক্রেতার অবশ্য চাহিদা ভাইফোঁটায় পাতে পড়ুক পাবদা, পার্শে আর ভেটকি। কিন্তু দামের বহরে কপালে চিন্তার ভাঁজ। যদিও নমো নমো করে এরা কিনেও ফেলছেন পছন্দের সেই মাছ। তাঁদের মতে ভাইফোঁটা তো শুধু একটা ফোঁটা নয় গেট-টু-গেদার বলে কথা। তাই তাতে মাছের তৃপ্তির ঢেঁকুড়ই যদি না থাকবে তাহলে চলবে কী করে!
আরও পড়ুন- দীপাবলিতেও আপনার সন্তান চুপচাপ, কীভাবে তাকে ভাল রাখবেন জেনে নিন
আরও পড়ুন- দীপাবলিতে স্বস্তি, তবে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় কিয়ার
আরেক দিদি সাত সকালেই হাজির হয়েছেন মাণিকতলা বাজারে, তার ভাই ভেটকি আর ট্যাংড়া মাছ খেতে খুব ভালোবাসেন। তাই ভাইফোঁটা মানেই তাঁর ভাইয়ের পছন্দের মাছ পাতে দিতে না পারলে দিদির শান্তি নেই। দাম যতই হোক না কেন, তিনি ভেটকি ও ট্যাংড়া ব্যাগে পুরে তবেই বাড়ি যাবেন বলেই পণ করেছিলেন। কলকাতার অধিকাংশ বাজারেই এই ছবি সোমবার সকাল থেকে ধরা পড়েছে। তা সে যগুবাবুর বাজার হোক বা গড়িয়াহাট অথবা বৈঠকখানা। বাঙালি এখন পকেট কেটে ভাইফোঁটার উৎসবে মাততে মাছের বাজারে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে। তাতে দামের ছ্যাঁকা লাগুক কুছ পড়োয়া নেহি। কারণ ভাইফোঁটা তো আর ফোঁটা নয় ভাই ও বোনেদের থুরি গোটা পরিবারের গেট-টু-গেদার।