Vastu Tips: কমবেশি সকলেই বাস্তু শাস্ত্র মেনেই সংসারের যাবতীয় কাজ করেন। এমন অনেকে রয়েছেন যারা বাড়ি তৈরি থেকে ঘর সাজানো সবটাই করেন বাস্তু শাস্ত্র মেনে। 

Vastu Tips: বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়ির উত্তর-পূর্ব, কেন্দ্র (ব্রহ্মস্থান), বা প্রবেশদ্বারের কাছে ডাস্টবিন রাখা উচিত নয়, কারণ এতে নেতিবাচক শক্তি বাড়ে, যা আর্থিক ক্ষতি ও খারাপ সময়ের কারণ হতে পারে। পরিবর্তে, দক্ষিণ-পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিকে বন্ধ ঢাকনাযুক্ত, গাঢ় রঙের ডাস্টবিন রাখা ভালো এবং এটি নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি।নাহলে স্বাস্থ্যগত ও আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যে জায়গাগুলিতে ডাস্টবিন রাখা উচিত নয়:

* উত্তর-পূর্ব কোণ (ঈশান কোণ): এটি খুবই পবিত্র স্থান, এখানে ডাস্টবিন রাখলে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন এবং সংসারে অভাব আসে।

* ঘরের কেন্দ্র (ব্রহ্মস্থান): বাড়ির মাঝখানে আবর্জনা রাখলে শান্তি নষ্ট হয় ও মানসিক চাপ বাড়ে।

* প্রবেশদ্বার: বাড়ির মূল দরজার কাছে ডাস্টবিন থাকলে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না, যা দুর্ভাগ্য ডেকে আনে।

* শোওয়ার ঘর: শোওযার ঘরে ডাস্টবিন থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত হয় এবং মানসিক অস্থিরতা বাড়ে।

* রান্নাঘর: রান্নাঘরের খুব কাছে ডাস্টবিন রাখাও অশুভ।

ডাস্টবিন রাখার সঠিক নিয়ম ও দিক:

* দক্ষিণ-পশ্চিম দিক: এই দিকটি আবর্জনা ফেলার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।

* উত্তর-পশ্চিম দিক: উত্তর-পশ্চিম দিকের পশ্চিম কোণও একটি ভালো জায়গা।

* রং: বাদামী বা অন্য কোনো গাঢ় রঙের ডাস্টবিন ব্যবহার করুন, লাল বা হলুদ এড়িয়ে চলুন।

* ঢাকনা: সবসময় বন্ধ ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন ব্যবহার করুন, খোলা রাখলে দুর্গন্ধ ও নেগেটিভ এনার্জি ছড়ায়।

* পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত ডাস্টবিন খালি করুন এবং পরিষ্কার রাখুন, অতিরিক্ত আবর্জনা জমতে দেবেন না।

কেন এই নিয়ম মানা জরুরি:

* নেগেটিভ এনার্জি: ভুল জায়গায় ডাস্টবিন রাখলে নেগেটিভ এনার্জি বাড়ে, যা আর্থিক সংকট, মানসিক চাপ ও দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে।

* স্বাস্থ্য: অপরিষ্কার ডাস্টবিন পোকামাকড় ও জীবাণু আকর্ষণ করে, যা স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়।

* আর্থিক স্থিতিশীলতা: বাস্তু মতে, সঠিক জায়গায় ডাস্টবিন না রাখলে আর্থিক উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।