ছোট্ট শুকনো ফল কিশমিশের উপকারিতে অনেকেই উপেক্ষা করে থাকেন ঠিকই, তবে এর অলৌকিক গুণ জানলে অবাক হবেন আপনি। শরীরকে সার্বিক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে কিশমিশ, এমনটাই বক্তব্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রবিন শর্মার।
সাধারণত মিষ্টি ও ছোট দেখতে কিশমিশকে আমরা একটা সাধারণ শুকনো ফল হিসেবেই দেখি। কিন্তু জানেন কি, এই ছোট্ট শুকনো ফলটি শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে? আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ড. রবিন শর্মা-র মতে, কিশমিশ শুধু একটি খাদ্য নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক টনিক, যা প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শিশু, সবাইকে উপকার দেয়।
ডঃ রবিনের বক্তব্য অনুযায়ী, কিশমিশে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মুরগির মাংস থেকেও অনেক বেশি কার্যকর। যেমন মুরগির মাংসের তুলনায় ক্যালসিয়াম রায়রছে প্রায় ৪ গুণ বেশি।
আয়রন ২ গুণ বেশি, পটাশিয়াম ৩ গুণ বেশি, b
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে প্রচুর, ১২ গুণ বেশি। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার, ভিটামিন বি, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ যা দেহের বিভিন্ন কার্যকলাপে সহায়তা করে। বিশেষ করে ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ত্বককে তরুণ ও উজ্জ্বল রাখে।
কিশোমিশের উপকারিতা
* কিশমিশে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যার প্রাকৃতিক চিকিৎসা।
* কিশমিশে থাকা আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক। ফলে রক্তাল্পতা, মাথা ঘোরা, শারীরিক দুর্বলতাও কমে, শক্তির ভালো উৎস কিশোমিশ।
* উচ্চ পটাশিয়াম ও কম সোডিয়াম থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
শিশুদের জন্য প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যকর টনিক
শিশুরা ওষুধ খেতে চায়না সবসময়। কাশি, দুর্বলতা বা খাওয়ায় অনীহা দেখা দিলে কিশমিশ খাওয়াতে পারেন।কিশমিশ বাচ্চার খিদে বৃদ্ধি, রক্ত গঠন, শক্তি সরবরাহ এবং ইমিউনিটি বাড়াতে সহায়ক।
ডাক্তারের পরামর্শ
ডাঃ রবিনের মতে, শরীরে দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা চোখের সামনে অন্ধকার দেখেন হঠাৎ হঠাৎ, তবে কিশমিশ খেতে পারে, এইসব সমস্যা নির্মূল করতে পারে কিশমিশ। এর জন্য এক গ্লাস জলে ৫ থেকে ৭টি কিশমিশ এবং প্রায় এক চামচ মৌরি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খান। মাত্র ২১ দিনের মধ্যে স্পষ্ট কার্যকরীতে চোখে পড়বে। এছাড়াও, যদি আপনি বাচ্চাদের কিশমিশ দিতে চান, তাহলে সুতোর মতো চিনির মিছরির সাথে মিশিয়ে বড়ি তৈরি করে বাচ্চাদের চুষতে দিন। কাশি থেকে শুরু করে দুর্বলতা সব নিরাময়ে সক্ষম। এটি শিশুদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপকভাবে উপকারী হবে।


