সংক্ষিপ্ত

ডার্ক চকোলেট খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ডার্ক চকোলেট খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।

একঘেয়েমি শরীরচর্চা করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। রোগা হওয়ার জন্য চলছে নানান রকমের কসরত। । কেউ জিম তো কেউ যোগা, যেভাবেই হোক না কেন নিজেকে স্লিম রাখতেই হবে।। অনেকেরই আবার বন্ধ রয়েছে শরীরচর্চা,যার ফলে শরীরে জমছে বাড়তি ফ্যাট। এবারের শরীরচর্চাটা একটু অন্যরকম ভাবে শুরু করুন । তার জন্য প্রথাগত ব্যায়াম করতে আর লাগবে না। সঠিক মতো ডায়েট চার্ট মানলেই ওজন কমবে তড়তড়িয়ে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমবে বাড়তি ফ্যাট। এবার চকোলেটেই ঝরবে বাড়তি মেদ, শুধু তাই নয়, এতে ওজনও যেমননিয়ন্ত্রণে থাকবে,তেমনি ভুড়িও কমবে।

একমাসের মধ্যেই শরীরের ওজন কমিয়ে ফিট রাখবে এই খাদ্যাভাস। বেশি পরিমাণ খাবার খেতে হবে কিন্তু নিয়ম মেনে। নিয়ম ভঙ্গ করলে কিন্তু হবে না। রোগা হওয়ার জন্য এ এক ভিন্ন ডায়েট। অন্যান্য ডায়েটগুলিতে কার্বস প্রায়ই থাকেই না, এবং ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিমাণও খুব কম থাকে। এই ডায়েটের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরো উল্টো। এতে কার্বহাইড্রেট কম খেতে হয় এবং ফ্যাট খেতে হয় বেশি। এবার ভাবছেন তো ফ্যাট খেলে কীভাবে মেদ ঝরবে। দিনের প্রতিটি খাবারে কার্বোহাইড্রেট কম এবং উপকারী ফ্যাট বেশি পরিমাণে রাখতে হবে। এতে যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে,তেমনি ভুড়িও কমবে। মোট ক্যালোরির ৩০ শতাংশ যেন ফ্যাট থেকে আসে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

 

 

প্রসেসড ফুড, রেড মিড, ভাজা মিষ্টি এই সব ভুলে চিকেন, মাছ, ডিম,সব্জি, বাদাম, ডালজাতীয় খাবার, পিনাট বাটার, অলিভ অয়েল, ডার্ক চকোলেট, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি খেতে হবে। মেদ ঝরাতে দই-এর অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে। এবার সেই দইয়ের মধ্যে চকোলেট চিপস মিশিয়ে খান। রাতে ঘুমোতে যাবার আগে ডার্ক চকোলেট খান এক টুকরো করে। ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। ডার্ক চকোলেট তৈরির মূল উপাদান কোকোয়া ফ্লাভিনয়েড। যা ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ডার্ক চকোলেট খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ডার্ক চকোলেট খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। দিনে এক টুকরো করে ডার্ক চকোলেট খেলে স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমে। এছাড়াও চকোলেট খেলে নিমেষে মন ভাল হয়। চকোলেটকে সুপার ফুড বলা হয়। মস্তিষ্ককে ভাল রাখতেও চকোলেটের জুড়ি মেলা ভার।