গ্রীষ্মকালে তুলসী গাছ বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়ে! সারাদিন তরতাজা রাখতে কী করবেন? জেন নিন

হিন্দু ধর্মে মানুষ তাদের বাড়িতে তুলসী গাছ অবশ্যই লাগায়। এই গাছটি ধর্মীয় এবং ঔষধীয় কারণগুলির জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। এর পাতা অনেক পুষ্টি উপাদান ধারণ করে যেহেতু এটি অত্যন্ত গুণাগুণপূর্ণ বলা হয়। বিএস গাছটি খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়।

গ্রীষ্মের তীব্র রোদ এবং তাপমাত্রার কারণে এই গাছটি মুরঝাতে বা শুকাতে শুরু করে। যদি আপনার তুলসীও গ্রীষ্মে শুকাতে শুরু করে, তবে চিন্তা করবেন না, কিছু যত্ন এবং ভালোবাসায় তুলসী গ্রীষ্মে ও সবুজ থাকতে পারে। মনে রাখবেন যে এই গাছটি সংবেদনশীল, তাই নিয়মিত যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থায় কিছু সহজ উপায়ের সাহায্যে আপনি এটিকে আবার জীবন্ত এবং সবুজ করতে পারেন।

তুলসী গাছটিকে জীবন্ত রাখতে চেষ্টা করুন। বেশি সময় সূর্যের মূখোমুখি রাখবেন না: গরমের সময়ে তুলসী গাছটিকে বেশি সময় সূর্যের নিচে রাখবেন না।

সকালবেলা যখন সূর্য কিছুটা হালকা থাকে, তখন এই গাছটিকে কিছুক্ষণ সূর্যের আলো দিন এবং পরে এটি ছায়ায় রাখুন। আসলে, তুলসী গাছটিকে সারাদিন সূর্যের আলোতে রেখে দিলে এটি পুড়ে যেতে পারে এবং মরে যেতে পারে। তাই, বেশি সময় সূর্যের আলোতে রাখা ঠিক নয়।

প্রতিদিন জল দেওয়া প্রয়োজন: গরমের সময়ে তুলসী গাছটিকে প্রতিদিন জল দিতে হবে। কিন্তু, এই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে যে অতিরিক্ত জল দেওয়া উচিত নয়। এর মাটিটি পরীক্ষা করুন। যদি উপরের মাটি শুকনো এবং ভিতরে ভেজা হয়, তবে জল না দিলেও সমস্যা নেই। এ ছাড়াও, পাত্রে বেরনোর জন্য ব্যবস্থা করুন যাতে জল জমে না থাকে।

শুকনো পাতা কেটে ফেলুন: যে পাতা পুরোটাই শুকিয়ে গেছে, সেগুলি সবসময় কেটে ফেলুন যাতে গাছটি নতুন পাতা জন্মাতে পারে। পুরনো এবং শুকনো পাতা কেটে ফেলায় তুলসী আবার ফুলে ওঠার সুযোগ পায়।

অর্গানিক সার দিন এবং পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করুন: প্রতি ১৫ দিনে গরুর গোবর সার বা পেঁয়াজের খোসা কম্পোস্ট করে দিন। এতে গাছ পুষ্টি পায়। সাথে নীমের তেল পানির সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিন। এতে তুলসীকে পোকার থেকে মুক্তি মিলবে।