সংক্ষিপ্ত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সালে ৯.৬ মিনিয়ন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। তাই ক্যান্সার সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস হিসেবে।

বিশ্ব জুড়ে ব্যপক ভাবে ক্রমে প্রসার লাভ করছে ক্যান্সার। এই মারণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শয় শয় মানুষ। এই রোগ মানুষের শরীরের যে কোনও টিস্যুকে আক্রামণ করতে পারে। আর সঠিক সময় তা ধরা না পড়লে মানুষের প্রাণহানিও ঘটতে পারে।

বর্তমানে ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান রোগে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সালে ৯.৬ মিনিয়ন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। তাই ক্যান্সার সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস হিসেবে।

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের ইতিহাস- দিনটি প্রথম শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। ২০০০ সাসে প্যারিসে নতুন সহস্ত্রাব্দের জন্য ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনল ক্যান্সার কন্ট্রোল (ইউআইসিসি) এমন একটি সংস্থা যা প্রাথমিক পর্যায় ক্যান্সার শনাক্ত করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে।

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের তাৎপর্য- ক্রমে বেড়ে চলেছে এই মারণ রোগের প্রসার। এই রোগটিকে রোধ করতে ও এর বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী জোট গঠনে পালিত হচ্ছে দিনটি।

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের থিম- এই বিশেষ দিনের নির্দিষ্ট একটি থিম থাকে। এবছরের থিম হল- ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ। এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা গঠনের জন্য এক্সপোজার, ব্যস্ততা ও সুযোগের ওপর বেশি জের দেওয়া হয়।

ঠিক কোন কারণে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সকলে তা বোঝা কঠিন। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, পর্যান্ত ঘুমের অভাব এই সবের সঙ্গে অধিক পরিমাণ রেস্তোরাঁর খাবার- এই সবে অভ্যস্ত বর্তমান প্রজন্ম। এখন প্রায় কেউই শরীর চর্চার জন্য সময় বের করতে পারেন না। তেমনই বাড়ির রান্নার বদলে দোকানে খাবারে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এর সঙ্গে ধূমপান ও মদ্যপান তো আছেই। আর এই সব খারাপ অভ্যেসের প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরে। সে কারণেই বয়স ৩০-র কোটায় পা দিলেই শরীরে বাঁধছে একের পর এক রোগ। ডায়বেটিস, প্রেসার, কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। তেমনই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার। এই রোগ থেকে বাঁচতে চাইলে সবার আগে সুস্থ জীবনযাপন করুন। সঙ্গে সর্বদা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ পরীক্ষা দ্বারাই রোগ নির্নয় করা সম্ভব। তাই সঠিক সময় রোগ ধরা পড়লে তার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

আরও পড়ুন

সুজি দিয়ে তৈরি করুন ফেসপ্যাক, রইল ত্বকে জেল্লা আনার টোটকা, দেখে নিন কী করবেন

ডার্ক সার্কেল দূর করতে মেনে চলুন আয়ুর্বেদিক টোটকা, সহজ উপায় মিলবে উপকার

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাড়ছে তৃতীয় ব্যক্তি খোঁজার হার! পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেটিং অ্যাপের চাহিদা