Vishwakarma Puja 2025: বাংলায় বারো মাসে তেরো পার্বন। দুর্গোৎসব হলো বাঙালির সবচেয়ে মহৎ উৎসব। দুর্গাপূজা আসার ঠিক আগেই হয় বিশ্বকর্মা পূজা। বিশ্বকর্মা পূজা দিয়েই শুরু হয় বাঙালির দুর্গা পূজার আনন্দ।
Vishwakarma Puja 2025: বাংলা ক্যালেন্ডারে মাসের পর মাস লেগেই থাকে কোনও না কোনও উৎসব। ‘বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ’। তবে এসব উৎসবের মাঝে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে দুর্গোৎসব। আর তার আগেই বাঙালির উৎসবের সূচনা করে দেয় বিশ্বকর্মা পুজো। এই দিনটি শুধু দেবতা পূজার দিন নয়, বরং কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক নতুন উদ্যমে জীবনে অগ্রসর হওয়ার প্রতীক। ২০২৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার পালিত হবে বিশ্বকর্মা পুজো।
বিশেষ নিয়ম নীতি যা মেনে চলা উচিত?
বিভিন্ন কারখানা, কর্মস্থল, দোকান-বাণিজ্য, অফিস এবং এমনকি অনেক বাড়িতেও বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। শিল্পের দেবতা হিসেবে বিশ্বকর্মাকে শুধু পুজো করলেই চলবে না, চাই কিছু বিশেষ নিয়ম নীতি যা মেনে চলা উচিত। এইসব টোটকা পালন করলে কেবল দেবতার কৃপাই পাওয়া যায় তাই নয়, জীবনেও ব্যবসায় উন্নতির পথও খুলে যেতে পারে।
বিশ্বকর্মার হাতে যে ঘুড়ি দিতে হয় সেটা প্রায় আমরা সকলেই জানি। কিন্তু পুজোর পর প্রভুর বিগ্রহের সঙ্গে সেই ঘুড়িকেও ভাসিয়ে দিলে চলবে না। ব্যবসার স্থানে সেই ঘুড়িটিকে রেখে দিতে হবে। টাকার বাক্সের কাছে অথবা লোহার বস্তু যেখানে থাকে সেখানে ঘুড়িটিকে রাখতে পারলে বেশি ভাল হয়, অন্যান্য জায়গায় রাখলেও ক্ষতি নেই। এতে ব্যবসায় উন্নতি হবে।
এই ফুল ঠাকুরের পছন্দের বলে বিবেচিত
বিশ্বকর্মাকে সাদা রঙের মিষ্টি নিবেদন করাও এক গুরুত্বপূর্ণ রীতি। বিশ্বাস করা হয়, সাদা মিষ্টিতে সন্তুষ্ট হন দেবশিল্পী। পাশাপাশি, ঠাকুরকে কাশ ফুল অর্পণ করুন। শরতের দূত কাশফুল এই সময় পাওয়া যায় সহজেই। এই ফুল ঠাকুরের পছন্দের বলে বিবেচিত।
এছাড়াও, হলুদ ফুল, হলুদ ফল ও বাতাবি লেবু নিবেদন করলে মেলে আশীর্বাদ। বিশ্বকর্মা পুজোর জোগাড় করার আগে স্নান করা আবশ্যিক।
পুজোর দিন সকালে স্নানের সময়ও পালন করুন এক সহজ টোটকা। স্নানের জলে দিন কালো তিল। এতে জীবনের নানা জটিলতা থেকে মিলবে মুক্তি বলে বিশ্বাস।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


