ডিজিটাল স্ক্রিন শিশুদের দৈনন্দিন জীবনের একটি বিশাল অংশ, শেখার পাশাপাশি বাড়িতে অবসর সময় কাটানোর জন্যও স্ক্রিনের ব্যবহার ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশুদেরস্ক্রিন টাইমের প্রভাব এবং এটি কীভাবে পরিচালনা করা যায় তার কিছু পদ্ধতি আলোচনা করা যাক।
দিনের একটা বড় সময় মোবাইল বা ট্যাবলেট ব্যবহার করে ছোটরা। তার ফলে অল্প বয়সেই তাদের দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হচ্ছে। অনেক সময়ে তারা মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ছোটদের ‘স্ক্রিন টাইম’ নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, সম্পূর্ণ রূপে তাদের ডিজিটাল পর্দা থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। তাই অল্প বয়স থেকেই তাদের চোখের যত্নকে মাথায় রেখে ডায়েট তৈরি করা প্রয়োজন।
মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের চোখের ক্ষতি করে, তাই তাদের দৃষ্টিশক্তি অটুট রাখতে স্ক্রিন টাইম সীমিত করা অতি প্রয়োজন।নিয়মিত বিরতি নেওয়া, এবং স্ক্রিন থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। এছাড়াও, ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহার না করা এবং চোখের জন্য উপকারী অভ্যাস যেমন বাইরে খেলাধুলা করা উচিত।
* চোখের ক্ষতি কমাতে এবং দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখতে উপায়
১) স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: শিশুদের দিনে ২ ঘণ্টার বেশি বিনোদনমূলক স্ক্রিন টাইম না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, স্কুলের কাজের বাইরে।
২) 20-20-20 নিয়ম অনুসরণ করুন: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার পর, ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কোনো জিনিসের দিকে তাকান।
৩) সঠিক দূরত্ব বজায় রাখুন: মোবাইল ফোনটিকে চোখ থেকে অন্তত ২০ থেকে ২৮ ইঞ্চি দূরে রাখুন এবং স্ক্রিনটি চোখের স্তরের সামান্য নিচে রাখুন।
৪) মোবাইল ব্যবহারের সময়কে সীমিত করুন: ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এটি মেলাটোনিন উৎপাদনকে ব্যাহত করতে পারে, যা ঘুমের ধরণকে প্রভাবিত করে।
৫) চোখের আরামের জন্য বিরতি নিন: একটানা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে না থেকে মাঝে মাঝে বিরতি নিন, এতে চোখের চাপ কমবে।
৬) বাইরের কার্যকলাপকে উৎসাহিত করুন: শিশুদের বাইরে খেলাধুলা করতে এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ করতে উৎসাহিত করুন, যা তাদের চোখ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৭) চোখের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন: একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করান।


