পোষ্য কী ভাবে ঘুমোয়, সেই ভঙ্গি অনেক সময়ে তার মনোভাব বুঝতে সাহায্য করে। কয়েকটি লক্ষণ জানা থাকলে তার সঙ্গে মনিবের সম্পর্ক নিবিড় হবে। 

পোষ্যের ঘুমের ভঙ্গি তাদের মনোভাব বোঝার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ; যেমন, 'সৈনিক' ভঙ্গি (সোজা হয়ে) আত্মবিশ্বাসী ও শান্ত বোঝায়, পেট খোলা ভঙ্গি (ডনকি ভঙ্গি) নির্ভরতা ও আরাম বোঝায়, পাশে শোয়া ভঙ্গি (বালিশের মতো) বন্ধুভাবাপন্নতা, 'ডোনাট' ভঙ্গি (গোল হয়ে) নিরাপত্তা খোঁজা বোঝায়, আর 'টর্পেডো' বা 'ব্যাঙ' ভঙ্গি (পায়ের নিচে মুখ গুঁজে) আরাম ও সুরক্ষিত বোধ করা বোঝায়, যা তাদের মানসিক অবস্থা ও স্বাস্থ্যের ভালো-মন্দ নির্দেশ করে।

এখানে ৫টি সাধারণ ঘুমের ভঙ্গি ও তাদের ব্যাখ্যা বিস্তারিত দেওয়া হলো:

১. সৈনিকের ভঙ্গি :

ভঙ্গি: কুকুরটি সোজা হয়ে, পা দুটো পাশাপাশি রেখে ঘুমায়, যেন সৈনিক।

অর্থ: এরা সাধারণত শান্ত, সংযত এবং আত্মবিশ্বাসী হয়। এরা নিজেদের উচ্চ মান বজায় রাখতে পছন্দ করে এবং চাপ কমাতে এই ভঙ্গি ব্যবহার করতে পারে।

২. পেট খোলা বা ডনকি ভঙ্গি :

ভঙ্গি: কুকুরটি পিঠের উপর ভর দিয়ে, পেট উপরের দিকে খোলা রেখে, পা দুটো আকাশের দিকে করে ঘুমায়।

অর্থ: এটি তাদের সবচেয়ে দুর্বল ও অরক্ষিত ভঙ্গি। এর মানে তারা তাদের পরিবেশে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ বোধ করে এবং তাদের মালিকের উপর তাদের গভীর আস্থা আছে।

৩. পাশে শোয়া বা বালিশ ভঙ্গি :

ভঙ্গি: কুকুরটি একপাশে কাত হয়ে ঘুমায়, অনেকটা মানুষের বালিশের মতো।

অর্থ: এই ভঙ্গিটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও আরামদায়ক মনোভাবের লক্ষণ। এরা সাধারণত শান্ত থাকে এবং সহজেই অন্যদের সাথে মিশতে পারে।

৪. ডোনাট বা গোল ভঙ্গি :

ভঙ্গি: কুকুরটি শরীরটাকে গোল করে গুটিয়ে, লেজ দিয়ে মুখ বা নাক ঢেকে রাখে।

অর্থ: এটি নিরাপত্তা ও উষ্ণতা খোঁজার লক্ষণ। এরা কিছুটা লাজুক বা আত্মরক্ষামূলক হতে পারে, বিশেষ করে অপরিচিত পরিবেশে। এটি শরীর গরম রাখার একটি সহজাত পদ্ধতিও বটে।

৫. টর্পেডো বা ব্যাঙের ভঙ্গি :

ভঙ্গি: কুকুরটি সামনের পা দুটো মুখের নিচে গুঁজে বা পেটের কাছে ভাঁজ করে ঘুমায়, অনেকটা ব্যাঙের মতো।

অর্থ: এই ভঙ্গিতে কুকুরটি আরাম ও দ্রুত নড়াচড়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। এটি সাধারণত আনন্দিত ও উদ্যমী কুকুরের মধ্যে দেখা যায়, যারা যেকোনো মুহূর্তে খেলা শুরু করতে প্রস্তুত।

গুরুত্ব:

এই ভঙ্গিগুলো কেবল মানসিক অবস্থাই নয়, তাদের স্বাস্থ্যগত দিকও নির্দেশ করে। যেমন, যদি কোনো কুকুর সবসময় গুটিয়ে থাকে, তবে সে অসুস্থ বা চিন্তিত হতে পারে।

এই লক্ষণগুলো বোঝা গেলে আপনি আপনার পোষ্যের প্রয়োজন আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং তাদের সাথে আপনার বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।