সংক্ষিপ্ত

  • মশার কামড় যে কী ভয়ানক হতে পারে তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই
  • মশা কামড়ালেই তাই মাথায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো অসুখের চিন্তা কপালে ভাঁজ ফেলে
  • বর্ষা এলেই এই রোগগুলি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে
  • যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গুর হার অনেকটাই কম

মশার কামড় যে কী ভয়ানক হতে পারে তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। মাশা কামড়ালেই তাই মাথায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো অসুখের চিন্তা কপালে ভাঁজ ফেলে। বর্ষা এলেই এই রোগগুলি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গুর হার অনেকটাই কম। কিন্তু এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এবছর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। 

দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৬০ জন। সোমবার প্রকাশিত হওয়া মিউনিসাপাল কর্পোরেশনের রিপোর্ট থেকে এমনই জানা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬। বৃষ্টি বর্ষার কারণেই ক্রমশ বাড়ছে মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে ৬ ঘরোয়া টোটাকা, কী ভাবে বানাবেন জানুন

রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, তুলনামূলক ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা রাজধানীতে এবার কম। এখনও পর্যন্ত ২৬ জন্য ডেঙ্দুতে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া চিকুনগুনিয়াতে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, এবারে কলকাতাও ডেঙ্গু মোকাবিলায়ে একেবারে নড়েচড়ে বসেছে। কিছুদিন আগেই একটি বৈঠক হয় কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (কেএমসি) আধিকারিকদের মধ্যে। উপস্থিত ছিলেন শহরের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের সুপারইনটেনডেন্টস, মেডিক্যাল সুপারইনটেনডেন্ট ভাইস প্রিন্সিপাল। ছিলেন কেএনসি-র ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও। তিনি জানান, একটি ইন্সপেকশন দল গঠন করবে স্বাস্থ্য দফতর। যেটি প্রতিটি হাসপাতালে গিয়ে দেখবে ডেঙ্গু নিয়ে যে বিধি তৈরি হয়েছিল ২০১৭ সালে তা ঠিক মতো মানা হচ্ছে কি না। ডেঙ্গপুর রোগীদেরও দেখবেন সেই দলের সদস্যরা। 

যদি দেখা যায়, কোনও নার্স বা ডাক্তার চিকিৎসায় গাফিলতি করছেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।