সংক্ষিপ্ত

  • ফের করোনার থাবা খড়গপুরে
  • সংক্রমিত ৬ জন রেলকর্মী
  • বন্ধ করে দেওয়া হল ডিআরএম-এর অফিস
  • আতঙ্কের পারদ চড়ল রেলশহরে

শাজাহান আলি, মেদিনীপুর: করোনার আতঙ্ক, লকডাউনের জেরে ব্যাহত রেল পরিষেবা। সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই নেই চিকিৎসকদেরও। তালা ঝুলছে রেলের হাসপাতালে। আর এবার সংক্রমিত হলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে কর্মরত কর্মীরাও। আতঙ্কের পারদ চড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়গপুরে।

আরও পড়ুন: কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত সাংসদ-অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের বাবা, ভর্তি বেসরকারি হাসপাতালে

করোনা সতর্কতায় লকডাউন চলেছে প্রায় মাস তিনেক। মাঝে কিছু ছাড় দিতে দিয়েই ঘটেছে বিপত্তি। আনলক পর্বে সংক্রমণ ছড়িয়েছে আরও। লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যের সর্বত্রই। গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা আপাতত সপ্তাহে দু'দিন রাজ্যে পুরোদস্তুর লকডাউন কার্যকর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু ঘটনা হল, আনলক পর্বে গোটা দেশে মতোই এ রাজ্যে বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা। এখন অবশ্য মাঝে-মধ্যে মালগাড়ি-সহ কয়েকটি ট্রেন চলছে।

আরও পড়ুন: লকডাউনে ভিড় নেই বীরসিংহ গ্রামে, নমো নমো পালিত হল বিদ্যাসাগরের মৃত্যুবার্ষিকী

জানা গিয়েছে, করোনা আতঙ্কের মাঝে খড়গপুর দক্ষিণ পূর্ব রেলের সদর দপ্তর বা ডিআরএম অফিসে কাজ করছিলেন কয়েকজন পদস্থ আধিকারিকরা। সোমবার লালারসের রুটিন পরীক্ষা করা হয় তাঁদের। যাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভি এসেছে। এরপর তড়িঘড়ি করোনা আক্রান্তদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায় রেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ডিআরএম অফিসের কোলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কাজ যোগ দেননি বেশিরভাগ কর্মীরা। গোটা অফিস চত্বর জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে জোরকদমে। যদিও এ বিষয়ে মুখ কুলুপ এঁটেছেন রেলে শীর্ষ আধিকারিকরা।